র্যাবের ব্যবহার ছিল পরীষ্কার সন্ত্রাসী কায়দাঃ ডা. জাফরুল্লাহ
সিটি নিউজ ডেস্কঃঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ায় তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ কারণেই তার প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং একের পর এক মামলা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
আজ শনিবার (৩ নভেম্বর ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাফরুল্লাহ এই অভিযোগ করেন।
জোট গঠন হওয়ার পরপরই একটি টেলিভিশন টক শোতে সেনাপ্রধান নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েন জাফরুল্লাহ। পরে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে জাফরুল্লাহ বলেন, সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে র্যাবের অভিযান ছিল পুরো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মতো। আমি ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হওয়ার ফলে এই ধরনের কার্যক্রম চলছে।’
র্যাবের উর্দ্ধতনদের কাছে এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে জাফরুল্লাহ বলেন, র্যাবের ব্যবহার যে সন্ত্রাসী কায়দা সেটা পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই। তারা সরকারি নিয়মে জরিমানা কত হতে পারে সেটা মানে না, তারা চেক নেবে না; এই মুহুর্তে দিতে হবে।
এটার নামই সন্ত্রাসী কায়দা। তারা (র্যাব) যেটা করেছে, তা হলো অভিযানে গিয়ে সবচেয়ে দুর্বল দুই জনকে ধরেছে। দুই জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ধরেছে। আমরা ডাইরেক্টরকে ধরেনি। সেখানে একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল তাকে ধরেনি র্যাব। যাদের ধরেছে তাদের দিয়ে জোর করে সাক্ষর নিয়েছে।
আর এসব ঘটনা ঘটার কারণ আমি আমি ঐক্যফ্রন্টের সাথে যুক্ত হয়েছি তাই। আমাকে শাস্তি দিতে পারছে না বলেই প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতি করছে তারা। এটা একটা প্লান।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে যে হামলা-মামলা চলছে তাতে কি প্রধানমন্ত্রী উপকৃত হচ্ছেন। এতে প্রধানমন্ত্রীকে তারা বিপদে ফেলছে।
আপনার জন্য প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি সরে যাবেন কি না এমন প্রশ্নে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি ১০ বছর আগেই অবসর নিয়ে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ঢাকায় চলে এসেছি। আমি ট্রাস্টি বোর্ডের অবৈতনিক একজন সদস্য মাত্র।
এর আগে সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা, দখল এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নামে একের পর মামলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।