শিক্ষকের প্রহারে আহত ছাত্র, ২ শিক্ষক বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী :: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের শেখেরখীল গুইল্যাখালী এলাকায় এনামুল হক (৮) নামের এক মাদরাসা ছাত্রকে শিক্ষক কর্তৃক বেদম প্রহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুইল্যাখালী কাদেরীয়া তাজবীদুল কোরআন দারুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মজিব এর বিরুদ্ধে ওই ছাত্রের পিতা মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আহত এনামুল হক ওই মাদ্রাসায় হেফজ শাখায় পড়াশুনা করে আসছে। গত ১ বছর আগে তাকে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। এরই মধ্যে গত সোমবার (১৬ জুলাই) সকালে মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা মুজিব তার মাথা মালিশ করতে বললে ছাত্র এনামুল হক অপারগতায় প্রকাশ করায় ওই শিক্ষক তাকে বেদম ভাবে প্রহার করে। এতে করে ছাত্রটির সারা শরীরে আঘাতের স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। পাষণ্ড ওই শিক্ষক ছেলেটিকে লোহার শিকল দিয়ে সারা শরীরে, পিঠে, কোমরে, মাথায় আঘাত করে।
এছাড়াও ছেলেটি যন্ত্রনায় ছটফট করলে তাকে পায়ে শিকল পরিয়ে অন্ধকার একটা রুমে ২২ ঘন্টা ধরে অনাহারে আটকে রাখে ওই শিক্ষক। এক পর্যায়ে ছেলেটি ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে বাথরুমে যাবার কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে ছেলের পিঠে জখমের অবস্থা দেখে ছেলের পিতা বিষয়টি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে গেলে ওই শিক্ষক সহ অপরাপর শিক্ষকগণ ও শিক্ষকদের হুকুমে অন্যন্য ছাত্ররা তাদেরকে লাঠি ও দা-ছুরি নিয়ে তাড়া করে।
এদিকে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় এনামের পিতা বাদী হয়ে মাদরাসা শিক্ষক মুজিবের বিরুদ্ধে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা মুজিব ও মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনোয়ার হোসাইনকে ছেলেটির চিকিৎসা বাবদ নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়াও অভিযুক্ত শিক্ষক ও পরিচালককে ওই মাদরাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়।