শেখ হাসিনার জন্য, বাংলাদেশ ধন্য

0

এ্যাড. সালাহ্উদ্দিন আহমদ চৌধুরী লিপু::বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ম শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিনে নিরন্তর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপাল গঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে পরিবারেরসাথে ঢাকায় এসে রজনীবোস লেনে ভাড়া বাসায় উঠেন। ১৯৬১ সালের ০১ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিব দ্বারোঘাটন হলে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে প্রথমে ঢাকার টিকাটুলেিত নারী শিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস,এস, সি, ১৯৬৭ সালে বেগম বদরুন্নেসা মহিলা মহাবিদ্যালয় হতে এইচ, এইচ, সি এবং ঐবছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন ও ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রিপাশ করেন।

তৎকালে তিনি বদরুন্নেছা মহিলা মহাবিদ্যালয় ছাত্র-সংসদের ভিপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য ও রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে বিশিষ্ট পরমাণূ বিজ্ঞানী ডঃ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।জাতির এক ক্রান্তি লগ্নে ১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বচিত করা হয়।

১৯৭৫ সালের পট পরিরবর্তনের পর দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে তিনি হাজারো প্রতিকুলতার মাঝে ১৯৮১ সালের১৭ মে মাতৃভূমিতে ফিরে এসে দলেরসভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ঘাতকরাশেখ হাসিনাকে১৯ বার হত্যার চেষ্ঠা করে, কিন্তু তিনি ¯্রষ্টার কৃপায় অলৌকিক ভাবে বেঁচে যান। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গণতন্ত্রের জন্য কারাবরণ এবং ২০০৮ সালের ১৬ জুন মুক্তি লাভ করেন। দীর্ঘকাল অনেক বাধার প্রাচীর অতিক্রম করে এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপোষহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রথমবার ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন, দ্বিতীয়বার ২০০৯ সালের ০৬ জানুয়ারী এবং তৃতীয়বার ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সমৃদ্ধিও অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে।তিনি আপন যোগ্যতার স্ব-মহিমায় বাংলার কোটি মানুুষের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত। ৩৬ বছরের অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, মেধা, বিচক্ষণতা, আত্মপ্রত্যয় ও দুরদর্শিতার কারণে তিনি এখন বিশ্ব নেত্রী। তিনি নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যে কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের জন্য রোল মডেল। দেশ ও বিশ্ব পরিমন্ডলে শেখ হাসিনা আজ গণতন্ত্র, উন্নয়ন, ন্যায় বিচার ও শান্তির প্রতিক। বিশ্ব বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন জরীপে বিশ্বের ৪৭তম ক্ষমতাধর নারী শেখ হাসিনা।যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফরচুনে প্রকাশিত তালিকা মতে, বিশ্ব সেরা ৫০ নেতার মধ্যে শেখ হাসিনা দশম স্থানে।২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারীর নেত্রীদের মধ্যে তিনি ৭ম স্থানে ছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বলেছেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে মানুষের ভাগ্যোন্ন্য়ন ঘটেছে। কানাডার আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী মেরী ক্লদ বিবেউ বলেছেন, শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ।

শেখ হাসিনা গণতন্ত্র, শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হিসবে দেশি-বিদেশী প্রচুর পুরষ্কার ও সন্মানে ভূষিত হয়েছেন।যেমন- সম্প্রতি লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সম্প্রতি ইউএন ইউমেন এন্ড পার্টনাশীপ ফোররাম কতৃক প্রদত্ত প্ল্যানেট ৫০-৫০, এজেন্ট অব চেঞ্জ পুরষ্কার, পরিবেশ রক্ষায় চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরষ্কার -২০১৫, টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আইটিইউ পুরষ্কার ২০১৫, দারিদ্য বিমোচনে অবদানের জন্য সাউথ-সাউথ ভিশনারী পুরষ্কার-২০১৪, নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য শান্তি বৃক্ষ পুরষ্কার-২০১৪, টিকা কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য গেভী এলিয়েন্স পুরষ্কার-২০১২, শিশু মৃত্যুহার হৃাসের জন্য জাতিসংঘ পুরষ্কার-২০১৩ ও ২০১০, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য সিটেশন পুরষ্কার, ইউনুসকো শান্তি পুরষ্কার, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরষ্কার-২০১০, রোটারী শান্তি পুরষ্কার-২০১৩, সাউথ-সাউথ পুরষ্কার-২০১১, পার্ল এস বার্ক পুরষ্কার-২০০০,দারিদ্র বিমোচনের জন্য সিইআরএস মেডেল-১৯৯৯, মাদার তেরেসা শান্তি পুরষ্কার-১৯৯৮, এমকে গান্ধী পুরষ্কার ১৯৯৮, ফেলিক্স হোফুয়েট-বোয়েগনি শান্তিপুরষ্কার-১৯৯৮, দেশিকোত্তম পুরষ্কার-১৯৯১ অন্যতম। এছাড়া শেখ হাসিনাকে ২০১২ সালে দঃ এশিয়াায় শান্তি ও উন্নয়নে অবদানের জন্য ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি, ২০০০ সালে বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টরেট ডিগ্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় সন্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেন। ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টর অব ল ডিগ্রি, ১৯৯৭ সালে আমেরিকার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের ওয়সেদা বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টর অব ল ডিগ্রি ওআমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারটি ও বৃটেনের ডানডি বিশ্ববিদ্যালয় ফিলসফি ইন লিবারেল আর্টস ডিগ্রি প্রদান করেন। সম্প্রতি বৃটিশ মিডিয়া তাকে “মাদার অব হিউম্যানিটি” উপাধিতে ভূষিত করেছে। জীবনমান উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮টির অধিক পুরষ্কার অর্জন করেছেন। নোবেল শান্তি পুরষ্কার ২০১৭ এর জন্য ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় শেখ হাসিনার নাম স্থান পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন হলো যেমন- বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ওয়ান-ডে ও ট্যাষ্ট ষ্ট্যাটাস প্রাপ্তি,ভারতের সাথে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গার পানি চুক্তির মাধ্যমে শুষ্ক মওসুমে ৬৪ হাজার কিউসেক পর্যন্ত পানি পওয়া যাচ্ছে, ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ, ১৯৭৪ সালের সাক্ষরিত মুজিব-ইন্দিরা সীমান্ত চুক্তি মতে ভারতের সাথে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি ও সফল বাস্তবায়ন, বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতে আর ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশে ছিল, বিশ্ব ব্যাংক কতৃক নিন্ম মধ্যবিত্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, আর্ন্তজাতিক সালিিিশ আদালতে মামলায় জয়লাভের মাধ্যমে এবং বঙ্গোপসাগরে মায়ানমার হতে ২০০ নটিক্যাল মাইল ও ভারত হতে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইলের সমুদ্র সীমা অর্জন।

শেখ হাসিনার দুরদর্শিতায় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৭.২৪, দারিদ্রের হার ২৩.২ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান গত বছরের ০৩ অক্টোবর এক সংবাদ সন্মেলনে বলেন, গত এক দশকে দারিরদ্র বিমোচনে ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ভারত, পাকিস্তান ভ’টানের চেয়েও বাংলাদেশের অর্জন ভালো। যেভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে দারিদ্রের হার ০৩ শতাংশে নেমে আসবে। বর্তমান বিশ্বে প্রতি হেক্টর জমিতে গড় উৎপাদন প্রায় ০৩ টন, কিন্তু বাংলাদেশে প্রতি হেক্টরর জমিতে তা ৪.১৫ টন।গত বছরের ১৪ অক্টোবর চীনের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে আসলে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে ২৭টি চুক্তি ওসমঝোতা স্মারক এবং চীনা ব্যবসায়ীদের সাথে ১৩শ ৬০ কোটি ডলারের চুক্তি সম্পাদন হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কণৃফুলী নদীর তলদেশে টানেল, বাঁশখালীতে ১৩শ ২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ, পায়রায় ১৩শ ২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র,, শাহজালাল সার কারখানা,বাংলাদেশ ফোর টিয়ার ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসিয়াস ইনষ্টিউট প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর ফলে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ আজ সর্বোচ্চ সৈন্যদাতা দেশ। সেখানে ১ লাখ ৫২ হাজার সৈন্য কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ১,৬০২ মার্কিন ডলার, রিজার্ভ ৩২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতি উৎসাহ ব্যঞ্জক। গত বছরে দ্বিপাক্ষীয় বানিজ্য হয়েছে ৭ বিলিয়ন ডলারের অধিক। বৈদেশিক রেমিটেন্স ১৫ বিলিয়ন ডলার।বর্তমানে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরনার্থীকে বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দেওয়ার কারণে মানবতার জন্য বিশ্ববাসী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন কেেরছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা এখন তার সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে মিয়ানমারে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ফেরৎ নেওয়ার জন্য পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেন এবং জাতিসংঘ ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সফল বাস্তবায়ন হলোমোবাইল বাজার উন্মুক্ত করণ, বেসরকারী খাতে টিভি চ্যানেল অপারেটর করার অনুমতি প্রদান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দন্ড প্রাপ্তদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর, যুদ্ধাপরাধীদের দন্ড প্রাপ্তদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর, সন্ত্রাস ও জঙ্গী দমন, বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করণ, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন, তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য, দেশের প্রতিটি ইউ, পিতে তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন,ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা দ্বিগুনের অধিক করা, শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি, স্বাক্ষরতার হার ৬২.৩ শতাংশ, প্রতি বছরের শুরুতে সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্য বই বিতরণ, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি , ন্যায্য মূল্যে কৃষি উপকরণ প্রদান, কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট চালু,, ৫০ লাখ হত দরিদ্র পরিবারের জন্য ১০ টাকা মূল্যের চাল বিক্রির ব্যবস্থা, গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা চালু,মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করা,মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসন, শিশু মৃত্যুর হার হৃাস, নারী কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি, যানযট নিরসনে ফ্লাইওভার নির্মান, ৩৮১৩ কিঃমিঃ মহাসড়ক চার লেনে উন্নতি করণ, ১১৭৯ কিঃমিঃ আঞ্চলিক সড়ক মহাসড়কে উন্নতিকরণ,গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, ককসবাজারকে আর্ন্তজাতিক পর্যটন নগরীতে উন্নতকরণ, ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারগার স্থাপন। পায়রা ৩য় সামদ্রিক বন্দরনির্মাণ,ষ্মাার্ট কার্ড সরকারের অন্যন্য সাফল্য।

শেখ হাসিনার সরকারের যা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে যেমন- দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন শুরু রামপালে ১৩শ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মহেশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন। সাঙ্গু গ্যাস উত্তেলন, পায়রা ৩য় সামদ্রিক বন্দর রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, উড়াল সেতু, পাতাল সেতু বাস্তবায়ন, দোহাজারী-ককসবাজার-গুনধম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ, মহেশখালীতে ডিজিটাল আইল্যান্ড নির্মাণ, সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন, পটুয়াখালী, খুলনা, বাগেরহাটে ৩টি পৃথক বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, প্রতিটি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যূৎতায়ন, দারিদ্রতা বিমোচন, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা।
উপমহাদেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

এই সংগঠন ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার স্বামীবাগের বিখ্যাত রোজগার্ডেনে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। সেদিন রোপিত হয়েছিল বাঙালীর হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধনিতা সংগ্রামের বীজ। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি দলটির নেতা কর্মীদের অঙ্গীকার ও ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানী ও ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে বাঙালী জাতির গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের ইতিহাস। জনগণের অকুন্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়েই এ দলটি বিকশিত হয়। সুদীর্ঘ ৬৮ বছরের পুরানো এই সংগঠন ৩৬ বছর নিরবচ্ছিন্ন নেতৃত্ব দিয়ে, মৃত্যুকে জয় করে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ভাবধারার প্রতিকে পরিণত হয়েছে এবং দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রাণের সংগঠনে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন।বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুণঃ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। দেশ এখন উন্নয়নেরদ্বারপ্রান্তে।কিন্তু হাইব্রিড,অনুপ্রশেকারী, চাটুকারদের অপকর্মের কারণে শেখ হাসিনা সরকারের সব সাফল্য ও অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা ভীষণ পরিশ্রমী, হাস্যজ্জ্বল ও নিষ্টাবানধর্মপরায়ন নারী। প্রত্যহ প্রত্যুষে তাহাজ্জ্বদ ও ফজরের নামায আদায় ও কোরন শরীফ তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিনের কার্য শুরু করেন। পিতার মতো গরীবের প্রতি তার দরদ অপরিসীম। তিনি একজন দানশীল নারী। মানুষকে তিনি দান করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেন না। শুধু একজন রাজনীতিবীদও নয়, লেখকও। হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও তিনি সৃজনশীল লেখনীতে নিজেকে সমপৃক্ত রেখেছেন। তিনি অনেক লেখা ও গ্রন্থের প্রণেতা। এক কথায় বলা যায় তিনি অনেক গুণে গুণান্বিত।

শেখ হাসিনা অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত।জীবনযাত্রায় কোথায়ও তার বিলাসিতা বা কৃত্রিমতার কোন ছাপ নেই। তার কাছে নেই কোন ক্ষমতার অহংকার, দম্ভ, ও গৌরব। তার মানবিক গুণাবলি প্রবাদতূল্য। তিনি একজন মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভাবনার নব যুগে আমরা প্রবেশ করেছি এবং একটি স্বয়ং সমপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে উঠছে।শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামীদিনে জাতির আলোকজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হবে।দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে প্রয়োজন শেখ হাসিনাকে। জনগণের শক্তিকে পাথেয় করে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা সন্মুখপানে এগিয়ে যাবেন, সকলের প্রত্যাশা। শুভ দিনে তার দীর্ঘায়ু ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

লেখক: সাবেক সহ- সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজ ছাত্রলীগ, রাজনীতিবীদ, সংগঠক ও কলামিষ্ট

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.