শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং আবাসন বঞ্চিত সাংবাদিকদের ঠিকানা হবে

0

চট্টগ্রাম : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে আবারো পাকিস্তানী ধারায় নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বাংলাদেশের জনগন সেই ষড়যন্ত্র ব্যার্থ করে দিয়ে দেশকে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে এনেছে । গণমানুষের মুক্তি চাওয়া বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত বিপ্লব সমাপ্ত করছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি(প্রধানমন্ত্রী)আবাসন বঞ্চিত সব সাংবাদিকের ঠিকানা দিতে চান ।

তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের জন্য ‘আইডল হাউজিং সোসাইটি’ হিসেবে শেরশাহস্হ চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির প্রকল্পকে পূর্ণাঙ্গতা দেয়া হবে। – একথা বলেছেন বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. কর্তৃক শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং এলাকায় বুধবার(১৫আগস্ট২০১৮) রাতে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে একথা বলেন ।
তিনি আরো বলেন, আবাসন নিরাপত্তা হল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান চাওয়া । সব পেশার মানুষেরই সেই অধিকার রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা সাংবাদিকদের সব অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সমীর কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সমিতির সম্পাদক ও সিইউজের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির পরিচালক ও বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি কাজী আবুল মনসুর, সমিতির কোষাধ্যক্ষ নুর উদ্দিন আহমেদ, সিইউজের সাবেক সভাপতি এম.নাসিরুল হক ও মোস্তাক আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি মাঈনুদ্দিন দুলাল, প্রায়াত মোসলেম খানের পুত্র এমরান খান প্রমুখ

সাংবাদিকদের জন্য আবাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী আরো বলেন, আবাসন বঞ্চিত সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে ষড়যন্ত্র করে কেউ সফল হবেন না।

বক্তারা বলেন, ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের কাজ শুরু করেছেন। পুরো এলাকা জুড়ে আলোকায়ন করা হয়েছে। হাউজিং এলাকায় রাস্তার উন্নয়নে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। হাউজিং এলাকার মসজিদের উন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সভায় বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য জায়গাটি সরকার নামমাত্র মূল্যে প্রদান করেছে। ইতিমধ্যে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সমিতির পক্ষ থেকে বকেয়া খাজনা পরিশোধ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর আরো ৩০ বছরের জন্য সমিতির পক্ষ থেকে জায়গাটির ইজারা নবায়ন করা হয়েছে। ইজারা চুক্তির শর্ত সবাইকে অনুসরন করার আহবান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা ইজারা চুক্তি লংঘন করবেন, ইমারত বিধিমালা লংঘন করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইগত: ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আলোচনা সভা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট যারা ঘাতকের বুলেটে নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.