সবাইকে দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান
নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ : দূর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক মো. আকতার হোসেন বলেছেন, দূর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ করতে প্রত্যেক নাগরিককে স্ব-স্ব স্থান থেকে দায়িত্ব নিতে হবে। ১৯৪৭ সালে দূর্নীতি দমন কমিশন গঠন হওয়ার পর থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অসংখ্য মামলা হয়েছে। ২০০৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও অসংখ্য মামলার রায়ে সাজা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছা ও আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে দূর্নীতি দমন কমিশন একটি শক্তিশালী প্রভাবমুক্ত সংস্থা হিসেবে কাজ করে চলেছে। দূর্নীতি সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব হবে না, যতক্ষণ না নাগরিকেরা সচেতন হয়।
কারণ বিশ্বব্যাপি দূর্নীতি থাকায় সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে সবাইকে দূর্নীতির বিরুদ্ধে আন্তরিক ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
৬ জুন বুধবার দূর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা কমিটির আয়োজনে চন্দনাইশ উপজেলা অডিটরিয়ামে দূর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মত বিনিময় সভা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম. বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, উপ-পরিচালক মাহবুবুর রহমান।
আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা ডা. বখতেয়ার আলম, উপজেলা কমিটির এড. তুষার সিংহ হাজারী, জাহাঙ্গীর আলম, খুরশিদ রোকেয়া, আবদুল মান্নান, এস আই মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কমরুদ্দিন ছবুর, উপজেলা প্রকৌশলী বেলাল হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গীতা চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা কামরুম মোয়াজ্জেমা, সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিতালী সেন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান আল মামুন, সাংবাদিক যথাক্রমে মো. দেলোয়ার হোসেন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, এস. এম. রহমান, এম. এ. মহসিন প্রমুখ।
সভায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন সরকারী অফিসের অনিয়ম, বিদ্যুৎ বিভাগ, ভূমি অফিস, হাসপাতালে অনিয়ম, অবৈধ ট্রাক ডাম্পারকে টোকেন দিয়ে পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য উঠে আসে। সে সাথে প্রতি তিন মাস পর চন্দনাইশে এ ধরনের মতবিনিময় সভার দাবি উঠে।