সারা দেশে শুরু হয়েছে জেএসসি পরীক্ষা পরীক্ষার্থী ২৭ লাখ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে অষ্টম শ্রেণির ‘জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট’ (জেএসসি) ও ‘জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট’ (জেডিসি) পরীক্ষা । এবারের পরীক্ষায় সারা দেশে ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশে নিচ্ছে। তার মধ্যে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬০১ ছাত্রী এবং ১২ লাখ ২৩ হাজার ৭৩২ ছাত্র। ছাত্রদের থেকে এবার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ছাত্রী বেশি।
শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দুই হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। আট বোর্ডের অধীনে এবার জেএসসিতে ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৩ জন এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৪ লাখ ২ হাজার ৯৯০ জন পরীক্ষা অংশ নিচ্ছে। গত বছর এই পরীক্ষায় ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৫১৩ জন। এবার জেএসসিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৩ জন এবং জেডিসিতে ৩৪ হাজার ২৫১ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে বলেও জানা গেছে।
এক থেকে তিন বিষয়ে যারা অকৃতকার্য হয়েছিল তারাও এবার ওইসব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এদের সংখ্যা জেএসসিতে ২ লাখ ৩০ হাজার ৭৮৫ জন এবং জেডিসিতে ৩০ হাজার ৫৪৮ জন।
বিদেশের নয়টি কেন্দ্রে এবার ৫৭৮ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এসব কেন্দ্রে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি আর ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেডিসি পরীক্ষা চলবে।
এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা এবারও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। এ ছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এছাড়া অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম এবং সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে বলেও জানা গেছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২ লাখ ৫ হাজার ৫৩৭ জন শিক্ষার্থী।
১ হাজার ২৩৯টি বিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯১ হাজার ৯৪ জন ছাত্র এবং ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৪৩ জন ছাত্রী।
এর মধ্যে নগরসহ চট্টগ্রাম থেকে ৭৭৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৪ জন, কক্সবাজার থেকে ১৮০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩২ হাজার ৮২৩ জন, রাঙামাটি থেকে ১২৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১১ হাজার ৮১০ জন, খাগড়াছড়ি থেকে ১০১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার ৪৭০ জন এবং বান্দরবান থেকে ৫৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ হাজার ৩৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের ২২৪টি কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা সুষ্ঠু এবং নির্বিঘ্ন করতে ১০টি ভিজিলেন্স টিম মাঠে রয়েছে।
নকলমুক্ত পরীক্ষা ও প্রশ্ন ফাঁস যাতে না হয় সে জন্য গত রবিববার (২৮ অক্টোবর) থেকে সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।