সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগের ১৬ বিএনপির ৮ জন প্রার্থী

0

কামরুল ইসলাম দুলুঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের অন্যান্য আসনের মতো সীতাকুণ্ড-৪ আসনেও বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। সারাদেশের মধ্যে আলোচিত চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনে নেতা কর্মীদের মধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ উৎসব উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। ইতিহাস সাক্ষী আছে স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে সেদলই সরকার গঠন করেছে।

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন ১৬ জন। বিএনপি থেকে ৮ জন। তবে উপজেলা বিএনপি মনে করছে সীতাকুণ্ড বিএনপির একমাত্র প্রার্থী অধ্যাপক লায়ন আসলাম চৌধুরী। যিনি বর্তমানে জেল হাজতে আছেন।

আওয়ামী লীগ থেকে যারা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন তারা হচ্ছেন, বর্তমান সংসদ দিদারুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস.এম আল মামুন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ সদস্য মোস্তফা কামাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভুইয়া, পারভেজ উদ্দীন সান্টু, নিছার উদ্দীন মন্জু, হায়দার আলী, বদিউল আলম, রতেন্দ্র ভট্রাচার্য মহিউদ্দীন মন্জু, বখতেয়ার চৌধুরি, আলেকজান্ডার চৌধুরি, আবিদা আজাদ মোঃ ইমরান, আবুল খায়ের শাহজাহান এবং অধ্যাপিকা নার্গিস আকতার।

১৬ জন মনোনয়ন নিলেও দল থেকে একজনকেই দেওয়া হবে নমিনেশন। সীতাকুণ্ডবাসী অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কে সেই ভাগ্যবান যে দলের দেওয়া নমিনেশন নিয়ে নির্বাচন করবেন, কার ভাগ্যে জুটবে আলোচিত চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড- আংশিক চট্টগ্রাম) আসনের টিকেট। এ বিষয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলেরই একই কথা নমিনেশন যাকেই দেয়া হবে তার পক্ষে কাজ করবে।

একসময়ের বিএনপি’র দূর্গ হিসেবে খ্যাত এই উপজেলার নেতা-কর্মীরা বিগত দিনের আন্দোলনের বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমায় জর্জরিত হয়ে অনেকটা এলাকা ছাড়া। এছাড়া সীতাকুণ্ড আসনের বিএনপির একমাত্র প্রার্থী অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী বর্তমানে কারাবন্দী।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মনোনয়ন অনেকটা চুড়ান্তই ছিল কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক আসলাম চৌধুরীর। কিন্তু রাজনৈতিক, রাস্ট্রদ্রোহ ও ব্যাংক ঋণ মামলাসহ অসংখ্য মামলায় মাথায় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন উত্তর জেলার শীর্ষ বিএনপির এই নেতা। নির্বাচনে সীতাকুণ্ড আসন থেকে এখন পর্যন্ত ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।

তাদের মধ্যে আসলাম চৌধুরীও রয়েছেন। এ আসনে আসলাম চৌধুরীর বিকল্প তেমন কোন যোগ্য প্রার্থী নেই। তারপরও এ আসন যেন হাতছাড়া না হয় সে কারণেই এখান থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছে অন্যান্য নেতারা।

যদি আসলাম চৌধুরী নির্বাচন করতে ব্যর্থ হন তাহলে এ আসনে নির্বাচন প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হেসেন দীপ্তি ও নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল। এছাড়াও আছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি এওআই বি সিদ্দিকী, এম আবু তাহের বিএসসি, মোঃ ফেরদৌস মুন্না, দিদারুল আলম দিদার।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তারা সীতাকুণ্ড আসনের নমিনেশন ফরম নিয়েছেন। এদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপি নেতা-কর্মীরা মনে করছেন সীতাকুণ্ড আসনে আসলাম চৌধুরীর বিকল্প নেই। তিনি দলের একজন ত্যাগী নেতা। তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তারা এখনও আসলাম চৌধুরীর বিকল্প কাউকে মনে করছেন না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.