সীতাকুণ্ডে বাকের ভূ্ঁইয়ার মনোনয়ন নিয়ে ধুম্রজাল

0

বিশেষ প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনে এমপি দিদারকে মনোনয়ন দেওয়ার পূর্বে মনোনয়ন দেওয়া হয় সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাকের ভুঁইয়াকে। গত সপ্তাহে ঢাকায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকের ভূঁইয়াকে গ্রীণ সিগনাল দেওয়া হয়।

দলীয় সভানেত্রীর স্বাক্ষরযুক্ত চিঠি ইস্যু হয়ে আসে ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। মনোনয়ন চুড়ান্তের চিঠি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসলেও তালিকা প্রকাশের অপেক্ষায় চিঠি সংরক্ষণ করা হয়। এই সময় চট্টগ্রামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও ঢাকার একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের হস্তক্ষেপে নাটকীয়ভাবে পাল্টে যায় চিত্র। মনোনয়নপত্র দেওয়া হয় এমপি দিদারকে। ২ জন প্রার্থীকে চিঠি ইস্যু করায় বিষয়টি জটিল হয়ে উঠেছে। বাকের ভুঁইয়া দাবী করেছেন, তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

যে কারনে মনোনয়ন নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হওয়াতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীগণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। সীতাকুণ্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবর্গ দাবী করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন বিচক্ষণ নেত্রী। তার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। তবে সীতাকুণ্ডবাসীর আকুতি বাকের ভূঁইয়াকে নিশ্চয় মূল্যায়ন করবেন।

গতকাল সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ডে শত শত নেতাকর্মী বিক্ষোভ করেছে। সীতাকুণ্ডের স্থানীয় জনগন ও আওয়ামী লীগের নেতৃবর্গ এই প্রতিবেদককে জানান, বাকের ভূঁইয়া চিঠিও ইস্যু হয়েছে যেহেতু অতএব এই আসনে আওয়ামী লীগের ২ জনের নামে চিঠি ইস্যু হওয়াতে বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য সীতাকুণ্ডে তৃণমূলের নেতাকর্মীগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। সীতাকুণ্ড আওয়ামী লীগের একটি বৃহৎ অংশ মনে করে, বর্তমান এমপি প্রার্থী হলে আওয়ামী লীগের কোন্দল চাঙ্গা হবে এবং এর প্রভাব পড়বে ভোটে।

বাকের ভূঁইয়া বলেছেন, একটি প্রভাবশালী মহল মনোনয়নকে নিয়ে প্রভাব বিস্তার করে স্বাভাবিক গতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছেন। আওয়ামী লীগ হাই কমাণ্ড বাকের ভূঁইয়াকে মনোনয়ন দেওয়া নিশ্চিত করে আবার পুনরায় দিদারকে মনোনয়ন দেওয়ার ঘটনায় সীতাকুণ্ডের স্থানীয় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.