হঠাৎ তিন রহস্যের বেড়াজালে জনগন
জুবায়ের সিদ্দিকীঃ দেশের এই সময় তিনটি ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে গভীর রহস্য। এই রহস্যে বিব্রত সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকে মিলছে না রক্ষিত সোনার হিসাব। খোঁজ নেই দেড় লাখ টন কয়লার। রাজধানীর মিরপুরে হঠাৎ গুপ্তধনের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।
এতিন ঘটনায় সরকার এক বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার। হঠাৎ করে চাউর হয়ে গেল গুপ্তধনের খবর। এক কান দু’কান করে খবরটি জেনে গেল দেশবাসী। অমূল্য এ সম্পদ উদ্ধারে মোতায়েন করা হলো পুলিশ। মাটি খনন করে উদ্ধারের চেষ্টাও চলে দুই’দিন। কিন্তু পাওয়া গেলনা কিছুই।
এখন এ নিয়ে চলছে প্রযুক্তিগত গবেষনা। অন্যদিকে দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ লাখ ৪২ হাজার টনের বিপূল পরিমান কয়লা হঠাৎ গায়েব হয়ে গিয়েছে। কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে পড়েছেন কয়লা চালিত তাপ বিদ্যুৎ কন্দ্র। এতে রংপুরের বিভিন্ন জেলায় বিদুৎ সংকটে দুর্ভোগে পড়েছে সেখানকার মানুষ। কিন্তু এতো কয়লা কোথায় গায়েব হয়ে গিয়েছে সে সম্পর্কে কেউ কিছু জানেন না।
অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখা সোনা কিভাবে মিশ্র ধাতু হয়ে গেল সে রহস্যের এখনো সুরাহা হলোনা। ২২ ক্যারেটের সোনা ১৮ ক্যারেটের হয়ে গেল তাও জানা গেল না। সোনা কেলেংকারীর ঘটনাটি গনমাধ্যমে আসার পর বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টিকে ‘করণিক’ ভূল বলে চালিয়ে দিতে চাইলেও মেনে নিতে চায়নি শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ।
বিষয়টি নিয়ে হচ্ছে তদন্ত। সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো সভা সেমিনারে বিষয়গুলি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করছে সরকারের। অর্থমন্ত্রী বলেছেন ৩ কেজিতে দূষণ সমস্যা নয়। গুপ্তধন নিয়ে অনেকেই করছেন হাস্যরস। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে কয়লা খনির এমডি, জিএম এর বিদেশ গমনে।