শহিদুলইসলাম উখিয়া (কক্সবাজার): কক্সবাজার উখিয়ার বিভিন্ন শরনার্থী ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য স্মার্টকার্ড নিতে অনীহা প্রকাশ করেছে।
আজ সোমবার (২৬ নভেম্বর) উখিয়ার শরনার্থী লম্বাশিয়া, মধুর ছড়া ও অন্যান্য ক্যাম্পের কিছু এলাকায় প্রতিকী অনশন করেছে মিয়ান মার থেকে পালিয়ে অাশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প, জামতলী ক্যাম্প, ময়নার ঘোনা ক্যাম্প, মধুর ছড়া ও লম্বাশিয়া ক্যাম্পের সমস্ত দোকান পাট বন্ধ ছিল।
বালুখালী ক্যাম্পের জি -৩ ব্লকের সাবেক মাঝি মোহাম্মদ হোসেন বলেন রোহিঙ্গাদের স্নার্টকার্ড দেওয়ার খবরে সমস্ত দোকান পাট বন্ধ ছিল। বিকালে মিছিল হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মনে অশান্তি। অান্তর্জাতিক সংস্হা ‘ইউএনএইচসিআর’ কর্তৃক মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য তৈরি করা পরিবারভিত্তিক তালিকায় ‘রোহিঙ্গা’ উল্লেখ না করায় রোহিঙ্গারা এ অনশন কর্মসূচি পালন করছে।
স্মার্টকার্ড না নেওয়ার পাশাপাশি ‘ইউএনএইচসিআর’ কে কোনও ধরনের সহযোগিতা থেকে বিরত রয়েছে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ।মিয়ানমারের বুচিদং এলাকার বাসিন্দা ও বর্তমানে বালুখালী ক্যাম্পে বসবাসকারী অাবুল মিয়া বলেন,মিয়ানমারের ফিরতে যেতে রাজি না। এখানে মরতে চাই।রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে চারটি দাবী সম্বলিত একটি কাগজ ক্যাম্প ইনর্চাজ নিকট দেওয়া হয়। উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে নিযোজিত এনজিও সংস্হর লোকজনকে ছুটি দিয়ে দেন।
রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা মহিব উল্লাহ বলেন, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবারভিত্তিক তালিকায় “রোহিঙ্গা” শব্দটি উল্লেখ না থাকায় আমরা বিচলিত হয়ে পড়েছি।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে ‘ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) একটি সূত্র জানা গেছে গতকাল ও সোমবার উখিয়ার ২১ নাম্বার ক্যাম্প, চাকমারকুলসহ বিভিন্ন ক্যাম্পের কিছু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তালিকায় ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উল্লেখ না থাকায় স্মার্টকার্ড না নেওয়ার পাশাপাশি প্রতীকী অনশন করছে।
ক্যাম্পের মধ্যে দোকান বন্ধ ও ‘ইউএনএইচসিআর’কে অসহযোগিতা করছে। তবে এ বিষয়ে ‘ইউএনএইচসিআর’ এর পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. আবুল কালাম বলেন রোহিঙ্গাদের একটি অংশ ক্যাম্পে প্রতীকী অনশনের কথা আমি শুনেছি।