কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মা ও মেয়েকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (২৮ অক্টোবর) রাতে এসব তথ্য জানিয়েছেন কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. আরমান হোসেন।
গ্রেফতার নুরুল আবছার নুরু কুতুবদিয়ার আলী আকবরডেইল ইউনিয়নের শান্তি বাজার এলাকায় মৃত রহিম দাদের ছেলে। অপর দুজন হলেন: একই এলাকার আমির উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩২) ও পূর্ব তবলার চর এলাকার আবদুর জব্বারের ছেলে সাকিব হাসান রানা (১৫)।
এ ঘটনায় নিহতের রুনা আক্তারের ভাই হাফেজ সিরাজ দৌল্লাহ বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন। যেখানে রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার নুরুকে আসামি করে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে ৪-৫ জনকে। মামলার এহাজারে বাদী উল্লেখ করেছে নুরুল আবছার নুরুর সঙ্গে অন্য নারীর পরকীয়া সম্পর্ক থাকার জের ধরে এ হত্যা সংঘটিত হয়েছে।
ওসি মো. আরমান হোসেন জানিয়েছেন, গ্রেফতার স্বামী ছাড়া অপর দুজন এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার প্রমাণ মিলেছে। নিহতের বাড়ি ৪ টি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে অপর দুজনের কাছে। ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত এখনও কোন সিদ্ধান্ত জানান নি।
এর আগে গত শুক্রবার জুমার নামাজের নিজ ঘরে নুরুল আবছার নুরুর স্ত্রী রুনা আকতার (৩২) ও মেয়ে ওয়াসিমা নুরে জারিয়ার (৬) জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি আরমান জানান, শনিবার রাতে নুরুল আবছার নুরুকে প্রধান করে তার নিহত স্ত্রীর বড় ভাই হাফেজ সিরাজ দৌল্লাহ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলা অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়। কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাজীর পাড়ায় আল-কুরানুল কারিম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানীয় হায়দার পাড়া মসজিদের ইমাম সিরাজুদ্দৌলাহ।
এজাহারে বলা হয়েছে, রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগর অন্য এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক থাকায় তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। এর জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড।
আরমান বলেন, এ ঘটনায় নুরুল আবছার নুরুকে আগেই আটক করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ছিল। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ধরা হয় অপর দুজন। পুলিশ তদন্ত করছে। আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনা আরও পরিষ্কার হবে।