৪ নারী ধর্ষণ, আরো একজন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে ডাকাতির সময় একই পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় আবু সামা নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গতকাল মিজান মাতব্বর নামে মামলার এক আসামি চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে জবানবন্দিমূলক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হাতে গ্রেপ্তার হয় আবু সামা।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, আজ দুপুরের পর আবু সামাকে আদালতে হাজির করা হবে।
এর আগে, আসামি মিজান মাতব্বর স্বেচ্ছায় নিজে ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত হন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি জানান, ডাকাতির সময় তিনিসহ মোট পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে নিজের নামসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। সেখান থেকেই উঠে আসে আবু সামার নাম।
পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ দে জানান, মিজান মাতব্বর আদালতে ডাকাতির কথা স্বীকার করলেও তিনি নিজে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তবে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির পর ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য আদালতে স্বীকার করেছেন তিনি।
গত ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে এক প্রবাসীর বাড়ির গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে ডাকাতরা। তারা ওই পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণ করে এবং মালামাল লুটপাট করে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর তারা কর্ণফুলী থানায় মামলা দিতে গেলেও পুলিশ নেয়নি। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পুলিশ মামলা নেয়। দেরি করে মামলার নেওয়ায় অনেক আলামত নষ্ট হয়ে যায়। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়ে চট্টগ্রামে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সংগঠন। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।