সামাজিক উন্নয়নে এনজিওসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

0

নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ ইতিমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মান-সম্পন্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো। দেশের দারিদ্রের হার হ্রাস ও বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আযের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বর্তমান সরকার ঘোষিত ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসমূহ যুগোপযোগী প্রকল্প বস্তবায়ন করবে এবং স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে বলিষ্ঠ ভ’মিকা রাখবে।

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এমডিজি অর্জনে এনজিওসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি অর্জনেও সরকারের পাশাপাশি এনজিও সমূহ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বৃহত্তর চট্টগ্রামে ইপসা সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রমসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইপসা বৃহত্তর চট্টগ্রামের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং টেকসই সামাজিক উন্নয়নসহ তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ-টু-আই প্রকল্পের সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইপসা তথ্য প্রযুক্তিতে প্রতিবন্ধী মানুষের অভিগম্যতা তৈরীতে বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন কওে সাফল্য লাভ করেছে। ইপসা’র সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহ বাংলঅদেশের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে তৃণমূল পর্যায়ে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। সংস্থার সকল কার্যক্রমসমূহ ভিশন ২০২১ এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভে সর্বোপরি স্থাীয়ত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) ২০৩০ এর সফল বাস্তবায়নে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম সমূহের সাথে সমন্বয় কওে ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

ইপসা’র ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইপসা কক্সবাজার অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তাগণ উপরোক্ত মতামত প্রদান করেন।

ইপসা কক্সবাজারের ফোকাল পার্সন মোহাম্মদ হারুনের সঞ্চালনায় এবং ইপসা’র টীম লিডার খালেদা বেগমের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় ইপসা’র ধারণা পত্র উপস্থাপন করেন ইপসা’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইপসা’র প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর (প্রশিক্ষণ) রজত বড়ুয়া, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জিসু বড়ুয়া, প্রজেক্ট ম্যানেজার জসিম উদ্দিন, প্রকল্প সমন্বয়কারী নাজমুল বরাত রণি, প্রকল্প সমন্বয়কারী শমসের উদ্দিন মোস্তফা, প্রকল্প সমন্বয়কারী মোস্তাক আহমেদ, প্রকল্প সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম, প্রজেক্ট ম্যানেজার ওয়াইদুল হক শামীম, প্রজেক্ট ম্যানেজার ইব্রাহিম শাকি।

সভায় অভিন্দন জ্ঞাপন করেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক কক্সবাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো: মীর শাহরিয়ার কায়েস, নোঙ্গর’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ ভৌমিক। আলোচনা সভাশেষে মিলাদ ও ইফতার মাহফিল পরিচালনা করেন মওলানা আবু সৈয়দ।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.