নিজস্ব প্রতিবেদক:: তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। প্র্রচন্ড গরমে কয়েদিরা যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তা লাঘবে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের আহবানে সাড়া দিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পক্ষ থেকে ৩০টি সিলিং ফ্যান প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কারা কর্তৃপক্ষের নিকট ফ্যান হস্তান্তর করেন। কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোঃ সোহেল রানা বিশ্বাস’র সভাপতিত্ব এবং ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ আবদুস সেলিম’র সঞ্চালনায় এ সময় চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), ছৈয়দ ছগীর আহমদ ও সেক্রেটারী ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি মাহবুবুল আলম বলেন-সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অপরাধ দমনে আইন-শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কারাগারগুলোতেও কয়েদির সংখ্যা আনুপাতিক হারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে দেশের বিদ্যমান কারাগারে সেই তুলনায় পরিধি বা সুবিধা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয় না। কারাগার মূলত একজন অপরাধীর মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক সংশোধনের উৎস হিসেবে কাজ করে। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ, পর্যাপ্ত সুবিধা ও সুব্যবস্থার অভাব একজন কয়েদির মাঝে নেতিবাচক প্রভাবের বিস্তার ঘটায়। তাই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের আহবানে সাড়া দিয়ে প্রচন্ড গরমে কয়েদিদের দুর্ভোগ লাঘবে মানবিক কারণে চিটাগাং চেম্বার এগিয়ে এসেছে। কয়েদিদেরকে কর্মমূখী করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন ধরণের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে পরবর্তীতে তাদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা রোধ করতে তা কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে চেম্বার সভাপতি মন্তব্য করেন এবং কারা কর্তৃপক্ষ আগ্রহী হলে এক্ষেত্রে চিটাগাং চেম্বারের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
জেলার মোঃ সোহেল রানা বিশ্বাস বলেন-বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশী কয়েদি রয়েছে। তাই কয়েদিদের প্রয়োজনীয় সুব্যবস্থা প্রদানে প্রায়ই হিমশিম খেতে হয়। এই সীমাবদ্ধতার মাঝেও কারা কর্তৃপক্ষ কয়েদিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি কয়েদিদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ পরিচালনা করছে বলে তিনি জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি জেলারবৃন্দ মঞ্জুরুল ইসলাম, মোঃ মনির হোসাইন, মোঃ ফখর উদ্দিন, মোঃ আতিকুর রহমান, মোঃ হুমায়ুন কবির হাওলাদার, বেসরকারী কারা-পরিদর্শকবৃন্দ এম. এ. হান্নান, শেখ ফোরকানুল হক চৌধুরী, আজিজুর রহমান ও আবদুল হান্নান লিটন।