গৌরবদীপ্ত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

0

এডভোকেট সালহ্উদ্দিন আহমদ চৌধুরী লিপু:: আজকের ঐতিহাসিক এইদিনে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ইতিহাসের অমর কব্যের কবি, উপমহাদেশের অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতির এক গৌরবদীপ্ত দিন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৯ মাস ১৪ দিন কারাভোগের পর বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান সরকার ১৯৭২ সালের ০৮ জানুয়ারি রাওয়ালপিন্ডি থেকে মুক্তি দিলে তিনি সেখান থেকে লন্ডনে চলে যান।

লন্ডন হতে তিনি দিল্লী হয়ে ১০ জানুয়ারি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী অসাধারণ ও তেজস্বয়ী নেতা বঙ্গবন্ধু জীবন মৃত্যুর ভয়ঙ্কর অধ্যায় অতিবাহিত করে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে বাংলার আপামর জনসাধাণ অসীম আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিল। সেদিন ১.৪৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্রিটিশ কমেট বিমানটি ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করলে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়, বিমানবন্দর হয়েছিল জনসমুদ্রে। সেখান থেকে ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে বঙ্গবন্ধুর ২ ঘন্টা সময় লেগেছিল।

সেদিন বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ জনগণ তাকে অভিবাদন জানাতে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। পাকিস্তান সামরিক আদালত ১৯৭১ সালের ০৪ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুকে মুত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করলেও তা কার্যকর করেনি ভূট্টো সরকার। ফাঁসির মঞ্চে থেকে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে তিনি আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে।

আমার সোনার বাংলা আজ স্বাধীন ও সাার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। একজন বাঙালির প্রাণ থাকতে এই স্বাধীনতা ব্যাহত হতে দেবো না।” তিনি আরো বলেছিলেন,“এখন যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে চায় তবে সে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য মুজিব সর্বপ্রথম প্রাণ দেবে।” বঙ্গবন্ধু ১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ১৭ বার কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে যেতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জীবনে ৪,৬৮২ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি হতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তিনি সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল দেশ ও জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটানো। বঙ্গবন্ধু সরকার যুদ্ধকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক, সেতু, রেলপথ ইত্যাদি পুননির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার জন্য কুদারত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন, পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেন। ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির খাজনা মওকুফ করেন। পল্লী বিদ্যুৎ চালু করেন। শিল্পকারখানা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় পরিচালনার ব্যবস্থা করেন।

তার সরকার দ্রুত ১ কোটি শরণার্থীদের দেশে ফিরে আনা ও ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৯৭২ সালে ০৪ নভেম্বর সংবিধান প্রণয়ন করেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী ছিলেন। তাই মুক্তিযুদ্ধকালীন হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত নারীদের ‘বীরঙ্গনা’ খেতাবে ভূষিত করেন।

১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে মুসলিম বিবাহ রেজিষ্ট্রিকরণ আইন প্রণয়ন করেন। ইসলামি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ ও ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় বক্তৃতা করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্য পদ লাভ করে। জনগণকে তিনি তার স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে বলেছিলেন, ‘ভূলে যেওনা আমি মাত্র তিন বছর সময় পেয়েছি, এই সময়ের মধ্যে তোমরা কোন দৈব পরিবর্তন আশা করতে পারোনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা কিন্তু ঘাতকরা তাকে সে সুযোগ তাকে দেয়নি।

স্বাধীন বাংলাদেশের সূর্য ছিনিয়ে আনতে বাংলার সবুজ প্রান্তর রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অববাহিকায় অনেক রক্তস্রোত প্রবাহিত হয়েছে। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে আলাদা রাষ্ট্র হলে বাঙালি পাকিস্তানের অধীনে পূর্ব পাকিস্তানের অধিনস্থ হয়। পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের সাথে নানাবিধ বৈষম্য ও অর্থনৈতিক বঞ্চনার কারণে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৭ সাল থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুরদর্শী নেতৃত্বে ধীরে ধীরে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠতে থাকে। তীব্র আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ১৯৫২ সালে রক্তস্নাত ২১ ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়।

যা ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের ইউনেস্কো কতৃক আর্ন্তজাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় বিেেশ্বর সকল দেশ তা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ১৫ মে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় কৃষিমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ম্যাগনাকাটা খ্যাত ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হয়।

১৯৬৯ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কারাগার হতে মুক্তিলাভ করলে ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যথনে আইয়ুব খানের পতন হলেও ইয়াহিয়া খানের অভ্যদয় ঘটে, ১৯৭০ সালে আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ট আসন লাভ করলেও পাকিস্তান সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে বসতে দেয়নি। তারপর ১৯৭১ সালের ০৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকন্ঠের এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ্এই ১৮ মিনিটের কালজয়ী ভাষণে এদেশের মুক্তিকামী জনগণ স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জিবীত হয়েছিল।

এ জগদ্বিখ্যাত ভাষণ দিকনিদের্শনা মূলক, তীক্ষè যুক্তিযুক্ত। এ ভাষণে ছিল অপূর্ব শব্দশৈলী, বাক্যবিন্যাস ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। যা ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণকে জাতিসংঘের ইউনেস্কো ‘বিশ্ব ঐতিহ্যে দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। পূর্ব পাকিস্তানের সামিিরক ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ “অপারেশন সার্চ লাইট” নামে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের মধ্যযুগীয় বর্বরতায় গণহত্যা করেছিল।

যা ইতিহাসের জগন্যতম গণহত্যা। ২০১৭ সালের ১১ মার্চ দশম জাতীয় সংসদের ১৩তম অধিবেশেনে সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব গৃহিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গভীর রাত্রে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ৩২, ধানমন্ডির বাসভবন হতে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের মিনওয়ালি কারাগারে নিয়ে যায়। গ্রেফতারের পূর্বে ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর শেখ মুজিবুর রহমান সারাদেশে ওয়্যারল্যাস বার্তার স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

বঙ্গবন্ধু কতৃক স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রের বাংলা অনুবাদ, “ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহবান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাঠি হইতে বিতাড়ন না করা পর্যন্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।” তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম এম,এ, হান্নান ২৬ মার্চ বেলা ১২টার সময় দ্বিতীয় অধিবেশনে কালূরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রেরিত উক্ত স্বাধীনতা ঘোষনা পাঠ করেন। পরের বার পাঠ করেন বেতার অধিকর্তা সন্বীপ।

২৭ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সান্ধ্যকালীন অধিবেশনের অনুষ্ঠানে এবার বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ইংরেজীতে স্বাধীনতা ঘোষনা পাঠ করেন তৎকালীন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধকে চুড়ান্ত রূপ দেয়া লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় পরবর্তীতে মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি (কারাগারে), সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপতি/ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী, এ,এইচ,এম, কামরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, খন্দকার মোশতাক আহমদ পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং জেনারেল এম,এ,জি, ওসমানী অস্থায়ী সরকারের সেনা প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

এই সরকার বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে অসীম সাহসিকতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। মহান মুক্তিযুদ্ধ ১১টি ও ১টি কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অতিরিক্ত সেক্টর মহান মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধা শূন্য করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের জ্ঞানী-গুণী ও মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন এবং জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের ২৫ মার্চ থেকে পৈশিাচিকভাবে হত্যা শুরু করলে তা ডিসেম্বর মাসে ব্যাপকতা লাভ করে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ১০-১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজাকার, আলবদর আলশামস বাহিনীর সহায়তায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ১১১১ জন বুদ্ধিজীবিকে রায়ের বাজার ও মিরপুরের বধ্যভূমিতে নির্মমভাবে হত্যা করে।

পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ইষ্টার্ণ কমান্ডের প্রধান লেঃ জেঃ নিয়াজির নেতৃত্বে ৯১,৫৪৯ জন অফিসার ও জোয়ান আত্মসমর্পনের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন ও হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে আমরা পেয়েছি ৫৬ হাজার বর্গমাইলের স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ, একটি সংবিধান, লাল সবুজের পতাকা।

বাংলার ইতিহাসে ১০ জানুয়ারি একটি ঐতিহাসিক দিন। বঙ্গবন্ধুর বিরোচিত আত্মত্যাগ বীর বাঙালির চিরন্তন প্রেরণা উৎস। এ শতাব্দীতে শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর নাম বাঙালির জনমনে ভাস্বর হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন। এজন্য অন্নদাশ রায় লিখেছিলেন, “যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা গৌরি যমুনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।”

   লেখক :- রাজনীতিক, কলামিষ্ট ও গবেষক।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.