কক্সবাজারে ভারুয়াখালীর প্রচেষ্ঠায় পাঠাগার উদ্বোধন

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নে আলোকচ্ছটা ছড়ানোর প্রত্যয়ে শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে একটি পাঠাগার। ১৬ বছর পূর্বে এ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত আলোকিত ভারুয়াখালী সংগঠনের প্রচেষ্ঠায় এ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে সূত্রে প্রকাশ। পাঠাগারটি বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে শুভ উদ্বোধন করেন স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

এসময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, পাঠাগার হচ্ছে অন্ধকারে আলোর বাতিঘর। এখানে থাকা বই পড়ে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। কেননা যে জাতি যত শিক্ষিত সেই জাতি তত উন্নত। তাই আমাদেরকে উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে হলে সর্বাগ্রে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

জানা যায়, এই গ্রামে পাঁচ হাজারের বেশী মানুষ বসবাস করলেও নেই কোন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৬ বছর আগে গ্রামের শিক্ষিত যুবকেরা প্রতিষ্ঠিত করেন আলোকিত ভারুয়াখালী নামের একটি সংগঠন। সেই সংগঠনের উদ্যোগে গত শুক্রবার উদ্বোধন করা হয় ‘আলোকিত ভারুয়াখালী পাঠাগার’। উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার। সকালে বের করা হয় শোভাযাত্রা।

এরপর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে আলোকিত ভারুয়াখালী পাঠাগারটি উদ্বোধন করেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ আলহাজ¦ মোহাম্মদ ইলিয়াছ। এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। পটিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং আলোকিত ভারুয়াখালী পাঠাগার পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মো: জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংসদ আলহাজ¦ মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ, চট্টগ্রামের সহকারী জজ আরফাতুল রাকিব, পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জহিরুল ইসলাম খান, বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ও এইচ এম বদিউল আলম, শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুুর হোছাাইন, চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এইচ এম ফজলুল কাদের, আইনজীবী লিটন কান্তি গুহ ও পেকুয়া বিএমআই কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহিম মোহাম্মদ প্রমুখ।

এতে সাংসদ আলহাজ¦ মোহাম্মদ ইলিয়াছ আরো বলেন, ভারুয়াখালী এখন আর পিছিয়ে থাকবে না। এই এলাকায় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পাঠাগার আহবায়ক এবং পটিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো: জসিম উদ্দিন বলেন, পিছিয়ে পড়া এ এলাকাকে এগিয়ে নিতে সুশিক্ষিত নাগরিকের কোন বিকল্প নেই। আমি আশাবাদী অজানাকে জানাতে এ পাঠাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি এ এলাকার উন্নয়নের সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.