৫৭ ধারা থেকে ৩২ ধারা এবং ষ্টপ প্রেস

0

জুবায়ের সিদ্দিকী/ গোলাম শরীফ টিটু, সিটি নিউজ : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উৎকন্ঠা তৈরী হয়ে মিডিয়াপাড়ায়। বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে কাজ করার ক্ষেত্রে সংকট হবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেছেন,’ এমপিদের মান-ইজ্জ্বত রক্ষা করতেই ডিজিটাল আইন। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিছুল হক বলেছেন,’ ৩২ ধারায় বাক স্বাধীনতা হরণ করা হবে না। বিএনপি বলছে, ’এ আইনে সাংবাদিকরাই বেশি হয়রানীর শিকার হবেন।

সাংবাদিকরা বলেছেন,’এ আইনের প্রয়োগ হলে ভবিষ্যতে গণমাধ্যম গভীর সংকটে পড়বে। সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার বলেছেন,’ স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে অন্তরায় সৃষ্টি হয়েছে। যা গ্রহনযোগ্য নয়। কারন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তন করে ৫৭ ধারায় বিকল্প হিসেবে ৪ টি ধারা আনা হয়েছে। যেগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কিছুটা অন্তরায়। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে যেভাবে সাংবাদিকরা কাজ করেন সে পথটিতেই কিন্তু অন্তরায় সৃষ্টি করা হয়েছে। একে গুপ্তচরবৃত্তি বলে সেই অপরাধে অপরাধী করা হচ্ছে।

সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা বলেছেন,’ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তার যে আইনটি প্রস্তাব করেছে, এতে বাংলাদেশে সাংবাদিকতাকে বন্ধ করে দেয়ার নামান্তর। এর মাধ্যমে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে কবর দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। এই আইনে বলা হয়েছে,’ সরকারী-আধাসরকারী প্রতিষ্টানের ঘুষ দুর্নীতির অনুসন্ধান করতে পারবে না। তাদের বিরুদ্ধে দালিলিক প্রমান সংগ্রহ করতে পারবে না। অবৈধ কাজের ভিডিও-অডিও ধারণ করতে পারবে না। চিত্রধারন করা যাবে না। আমলাতন্ত্রের ভিতরে যারা দুর্নীতিবাজ তারাই এই আইনটি করতে উৎসাহী হচ্ছেন।

এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের হাতে একটি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পুর্নভাবে নিষিদ্ধ করার নামান্তর এ আইনে। এখনো আইন হয়ে যায়নি। আমি আশাকরি স্পিকার এটিকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠাবেন। কমিটি ইচ্ছা করলে আমাদের ডাকতে পারে। আমরা আমাদের মতামত দেব। তারপর এটাকে আইন করতে পারে সরকার। আইনমন্ত্রী বলেছেন,’ ৩২ ধারা নেই।

তারপরও সরকারের গোপনীয় ও অতি গোপনীয় কছিু আপনারা প্রকাশ করতে পারেন। এটা অকেন্স। আপনি যদি ইলিগ্যাল (বেআইনি) জিনিস ছাপিয়ে দেন, সেটা কোন বাইতে আছে সেটা অপরাধ নয়? কম্পিউটারের মধ্যে যদি থাকে সেটা যদি ইলিগ্যাল হয় আর আপনি যদি প্রকাশ করেন সেটা অপরাধ হতে পারে না। বরং যার ইলিগ্যাল বিষয় প্রকাশ হবে তারই শাস্তি হবে।

আইনমন্ত্রী বলেছেন,’ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগনের নেত্রী। জনগন মানে সাংবাদিকতা। তিনি অহেতুক ও অযথা কেউ হয়রানী হোক সেটা চান না। কোন আইনের মধ্যে এমন ব্যবস্থা থাক সেটা তিনি চান না। আপনাদের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হবে না। সাংবাদিকরা এই ধারায় উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বলেছেন, এখন ৩২ ধারা যেন ষ্টপ প্রেসে রুপান্তর হতে যাচ্ছে। এই আইন সাংবাদিকদের ঘায়েল করা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.