চট্টগ্রামে ৩ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা

0

সিটিনিউজ ডেস্ক::বন্দর নগরী চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরীয় রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ জোনে (কেইপিজেডে) তিন লাখ তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে সরাসরি। এ প্রক্রিয়াজাতকরণ জোনে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। এটি হবে দেশের প্রথম বেসরকারি ইপিজেড।

 

কেইপিজেডের প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর সাদত বলেন, সরকার এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আমরা শিগগির কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, শিল্প, জোন সাপোর্ট সেবা স্থাপনা, সড়ক, বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক, প্লানটেশন, জলাশয় এবং উন্মুক্ত স্থানের মতো ইউটিলিটি সেবার জন্য কেইপিজেডের দুই হাজার ১৫০ একরের অধিক জমি উন্নয়ন করা হয়েছে। কেইপিজেডে ২৫টি কারখানা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ বর্গফুট ফ্লোর রয়েছে। এ বছরের মধ্যে ৪২ লাখ বর্গফুট ফ্লোরের জন্য একটি পলিস্টার কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।

 

তিনি জানান, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দেয়া ছাড়পত্রের শর্তানুযায়ী ৩৩ শতাংশ ভূমি বৃক্ষায়নের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৯ শতাংশ ভূমি উন্মুক্ত ও জলাশয়ের জন্য রাখা হয়েছে।

 

কেইপিজেডের প্রেসিডেন্ট জানান, ৪৮ শতাংশ ভূমি (১২০০ একর) কারখানা, ইউটিলিটি, সড়ক, একোমোডেশন. হাসপাতাল, স্কুল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার জন্য রাখা হয়েছে। কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জোনটি উন্নয়ন করেছে। সড়ক, ইউটিলিটি এবং অন্যান্য সুবিধাদির জন্য ভূমি ব্যবহারের পর ৩০ শতাংশ ব্যবহারযোগ্য ভূমি অর্থাৎ ৮৪০ একর জমি শিল্প স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হবে। এখন বাকি ৪শ’ একর জমি উন্নয়নের জন্য আর মাত্র দুটি শুষ্ক মৌসুমের প্রয়োজন।

 

তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে এবং আরো নতুন ৪.৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে ১৬ কিলোমিটার ৩৩ কেভি এবং ১১ কেভি ওভারহেড ইলেকট্রিক লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। কেইপিজেডে বর্তমানে ১৭ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করছে। এদের অধিকাংশই স্থানীয় লোক। প্রতি দিনে নতুন শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

 

কেইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, গত নভেম্বরের পর থেকে তিনটি নকশা উন্নয়ন কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। পাশাপাশি আগামী জুনে ৬টি চার তলাবিশিষ্ট আরসিসি কারখানা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে জোনটি ১ কোটি বর্গফুট এলাকা হবে। কেইপিজেডের গেস্ট হাউজ-১-এর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এতে থাকছে ৯৬টি কক্ষ, সম্মেলন হল, বিজনেস ও যোগাযোগ কেন্দ্র। সমান সুযোগ-সুবিধাসহ গেস্ট হাউজের দ্বিতীয় ইউনিটটি নির্মিত হচ্ছে।

 

জোনে ১২টি মহিলা ডরমিটরি নির্মিত হবে। এর মধ্যে তিনটির নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ৫ হাজার ১৮৪ জন নারী শ্রমিকের থাকার ব্যবস্থা হবে।

 

কেইপিজেডে গ্রীন জোন গড়ে তুলতে কম্পাউন্ডের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ৭০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ১২৯ একর জমিতে জলাশয় তৈরি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.