চন্দনাইশে পরীক্ষাকেন্দ্রে  ১০ মিনিট আগে উত্তরপত্র তুলে নেয়ার অভিযোগ

0

নিজস্ব সংবাদদাতা,চন্দনাইশ::চলতি এসএসসি পরীক্ষা চন্দ-১ গাছবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১১৮ নং কক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের ১০ মিনিট পূর্বে নৈর্ব্যক্তিকের উত্তরপত্র তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছে পরীক্ষার্থীরা।
রোববার( ১২ ফেব্রুয়ারি)এসএসসি’র গণিত পরীক্ষায় চন্দ-১ গাছবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১১৮ নং কক্ষে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে নির্দিষ্ট সময়ের ১০ মিনিট আগে নৈর্ব্যক্তির পরীক্ষার উত্তরপত্র তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।

এ সময় পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে হৈ-চৈ শুরু করে। ফলে শিক্ষার্থীরা ১০ টির অধিক নৈর্ব্যক্তিকের উত্তর দিতে পারেনি। শুধু তাই নয় এ মানসিক চাপে পরবর্তীতে রচনামূলকে তারা ভালো উত্তর দিতে পারেনি বলে দাবী করে। তাছাড়া পরীক্ষা পরবর্তী অভিভাবকেরাও এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তারা। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব জাফরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ে উত্তরপত্র নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ১০ মিনিট বিরতির সময় কাজে লাগানো ব্যর্থ হওয়ায় এ অভিযোগ তুলেছেন। কেন্দ্র সচিব সূত্রে জানা যায়, চন্দ-১ কেন্দ্রে মোট ২০ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে মান উন্নয়ন, রেফার্ড, অনিয়মিত পরীক্ষার্থীও রয়েছে বলে জানা যায়। ১১৮ নং কক্ষে ৩ জন মান উন্নয়নসহ ৭ জন পরীক্ষার্থী ছিল বলে জানান তিনি।
শিক্ষকেরা জানান, প্রথম বারের মত পরীক্ষার শুরুতে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তরপত্র নিয়ে পুনরায় প্রশ্নপত্র ও খাতা দিতে গিয়ে শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাছাড়া ২০১৩-২০১৪, ২০১৪-২০১৫, ২০১৫-২০১৬ তিন বছরের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর পাশাপাশি মান উন্নয়ন ও রেফার্ড পরীক্ষার্থী রয়েছে। ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীদের সাথে এ সকল অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর ভিন্নতা রয়েছে। ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীদের নৈর্ব্যক্তিক উত্তরপত্রের জন্য সময় দেয়া হয়েছে ৩০ মিনিট, অনিয়মিত তিন বছরের পরীক্ষার্থীর জন্য সময় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪০ মিনিট। তাছাড়া ১০ মিনিট বিরতি রাখা হয়েছে। এ নির্ধারিত সময় মিলাতে গিয়ে পরীক্ষায় কর্তব্যরত শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হয়েছে। ফলে একইভাবে একই কক্ষে বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষায়ও একই ঘটনা ঘটে। এ সৃজনশীল পদ্ধতির মাধ্যমে নৈর্ব্যক্তি প্রশ্নের উত্তরপত্র নিয়ে পরবর্তীতে রচনামূলক প্রশ্নপত্র ও খাতা দিয়ে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষকদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া যে সকল কেন্দ্রে অতিরিক্ত কক্ষ রয়েছে। একই সময়ে কেন্দ্র সচিব, সহকারী কেন্দ্র সচিব প্রশ্ন পৌছাতে গিয়ে কালক্ষেপণ হচ্ছে। এ ব্যাপারে তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃর্ষ্টি কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে চন্দ-১ এ দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু কাউসারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
একইভাবে গত ২ ফেব্রুয়ারি একই কক্ষে এ ধরনের ঘটলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা। তাছাড়া ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় চন্দ-২ ফাতেমা জিন্নাহ কেন্দ্রের দাযিত্বপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু কাউসার ভিন্ন সেটের প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেয়ায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দিলে জেলা প্রশাসক তদন্ত প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেন। এর প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু কাউসারকে টেকনাফে শাস্তিমূলক বদলী করেন। কিন্তু তিনি তা কি এক অজানা কারণে বাতিল করে অদ্যাবধি চন্দনাইশে কর্মরত রয়েছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.