তাঁরা প্রবাসী তাই এত প্রভাব !

0

বোয়ালখালী প্রতিনিধি :: বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামের একটি পরিবারের প্রায়জনই প্রবাসী।

প্রবাসে জীবন কাটলেও গ্রামের বাপদাদার ভিটে বাড়ি রক্ষায় সম্প্রতি উঠে পড়ে লেগেছেন এ প্রবাসী পরিবার।

এনিয়ে দু’দুইটি মামলা দায়েরও করেছেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এ প্রবাসী পরিবার।

গত কয়েক মাস আগে প্রবাসী অসিত দাশের ছেলে সঞ্জয় দাশ লন্ডন থেকে দেশে আসেন নিজের বাপদাদার ভিটে বাড়ি রক্ষায়।

এরপর থেকে নিজ বাড়িতে আসা যাওয়ায় সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তার দরকার হয় বলে জানিয়ে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, লন্ডন প্রবাসী সঞ্জয় দাশের নিরাপত্তায় পুলিশ সার্ব্বক্ষণিক কাজ করছে।

এ নিয়ে ঘনঘন পুলিশি নিরাপত্তা চাওয়া থানা পুলিশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্য রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, মূলত এলাকায় প্রভাব বিস্তারে পুলিশি নিরাপত্তা নেন প্রবাসী সঞ্জয় দাশ।

প্রবাসী পরিবারটির অভিযোগ, বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী কঞ্জুরী গ্রামের দাশ বাড়ির স্বপন দাশ রক্ষক হিসেবে থেকে জাল দলিলের মাধ্যমে সমুদয় সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন।

তাই সম্পত্তি রক্ষায় নেমেছেন এ প্রবাসী পরিবার।

রক্ষক ভক্ষকে পরিণত হওয়ায় স্বপন দাশের বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।

স্বপন দাশকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছিল বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহবুবুল আলম আকন্দ।

বর্তমানে স্বপন দাশ জামিনে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে।

গতকাল সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রবাসী সঞ্জয় দাশ ও তার পরিবার ঘরের বৈদ্যুতিক মেরামতের কাজ করছিলেন।

এসময় স্বপন দাশের নেতৃত্বে ৪/৫ জনের একটি দল হামলা চালিয়ে মারধরসহ বৈদ্যুতিক তার দিয়ে গলায় চেপে ধরে আনুমানিক ১০হাজার টাকার বৈদ্যুতিক মালামাল ও নগত সাড়ে তিন হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

এ ঘটনায় প্রবাসীর ভাই সমীরণ দাশের দায়েরকৃত মামলায় স্বপন দাশসহ ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে জানিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মামলা দায়েরের পর রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার ৪ নম্বর আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রবাসীর নিরাপত্তায় পুলিশ সার্বক্ষণিক প্রহরায় থাকলেও ঘটনার সময় প্রবাসী সঞ্জয় দাশ নিজেই পুলিশি নিরাপত্তা সরিয়ে নেন। বিস্তারিত ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।

গ্রেপ্তারকৃত মঞ্জু দত্ত (৩৬) পরিবার নিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর প্রবাসী সঞ্জয় দাশের পিতা অসিত দাশের ঘরের কেয়ার টেকার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। বর্তমানে স্বপন দাশের কেয়ার টেকার হিসেবে রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

তবে শংকর দত্তের স্ত্রী মঞ্জু দত্ত আহত হওয়ায় গতকাল (১৪ আগস্ট) রাত এগারটায় বোয়ায়খালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাপস মজুমদার।

মঞ্জু দত্ত অভিযোগ করে বলেন, প্রবাসী পরিবারের লোকজন হামলা চালিয়ে তার ছোট দুই ছেলেসহ তাকে বেধড়ক মারধর করে আহত করেছেন। আবার মামলাও দিয়েছে।

তাঁরা প্রবাসী, তাই তাঁদের এত প্রভাব বলে জানায় মঞ্জু দত্ত।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.