নুহাশপল্লীতে হবে হুমায়ূন স্মৃতি জাদুঘর

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: পরিবারের সবার অনুমতি নিয়ে খুব শিগগিরই গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করার কথা জানিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

সোমবার সকালে নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এই ইচ্ছার কথা জানান।

হুমায়ূনপত্নী বলেন, সারাদেশের মানুষ যেভাবে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করে তাতে আমাদের খুব ভাল লাগে। মনে হয় বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে আমাদের হুমায়ূন সবার আদরের হুমায়ূন।

মেহের আফরোজ বলেন, হুমায়ূন আহমেদের প্রচুর ব্যবহৃত জিনিস, হাতে লেখা স্ক্রিপ্ট, বই আছে। আমার মনে হয়, এগুলো সংরক্ষণ করা দরকার। আমার ইচ্ছে, নুহাশপল্লীতে একটি জাদুঘর করব। বিষয়টি নিয়ে আমি পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার প্রতি ভালবাসা ও স্মৃতি সংরক্ষণে পারিবারিক সম্মতিতে শিগগির নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন স্মৃতি জাদুঘরের কাজ শুরু করা হবে।

এর আগে সকালে স্বামীর জন্মদিন পালনের জন্য দুই পুত্রসন্তান নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে আসেন মেহের আফরোজ। কবরে ফুল দেয়ার পর হুমায়ূন আহমেদের ৬৯তম জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

প্রিয় লেখকের জন্মদিনে সকাল থেকেই নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন ভক্তরা ভিড় জমান। কেউ সাইকেলে আবার কেউ বাসে চড়ে আসেন। হলুদ পাঞ্জাবি পড়া হিমু পরিবারের সদস্যরাও এসেছেন। কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তারা।

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে নুহাশপল্লীতে রাতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এছাড়া দিবসটি পালনের জন্য কেককাটা, শিল্পকর্ম প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.