পটিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই শুরু ১১ ফেব্রুয়ারী

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি:: চট্টগ্রামের পটিয়ায় ১১ ফেব্রুয়ারী থেকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। যা ২০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত একটানা চলবে। উদ্বোধন করবেন পটিয়ার সাংসদ আলহাজ¦ সামশুল হক চৌধুরী।

সোমবার বিকেল ৫ টায় পটিয়া মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলা হয়, কমিটি সঠিক যাচাই-বাছাই কার্যক্রম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। পাশাপাশি কোন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার কারণে যাতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবর্মূূতি ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে সুদৃষ্টি রাখা হবে। এছাড়াও যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলাকালে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে সাংবাদিক সমাজের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে বলে যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ সামশুল ইসলাম তথ্য প্রকাশ করেন।

এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দৌজা, কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, বদিউজ্জামান, আহমদ নবী চেয়ারম্যান, মো: মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান, মোস্তাফিজুর রহমান। এতে বলা হয় পৌরসভা সহ ২৩ টি এলাকা নিয়ে পটিয়া মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এখানে একেকটি এলাকা থেকে ১০ থেকে ৬০ টি পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে। বর্তমানে পটিয়ায় প্রায় ৭০০ মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনলাইনে প্রেরিত আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দেন। যা পটিয়ায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ কমিটির কাছে প্রেরিত হয়েছে। শুধুমাত্র জাতীয়ভাবে ইতিপূর্বে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রেরিত দরখাস্তগুলোর যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে আবেদনকারীকে তার জাতীয় পরিচয় পত্র ও ফরমে পূরণকৃত ৩ জন সাক্ষী হাজির রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কমিটি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক গেজেট, লাল মুক্তিবার্তা, নতুন আবেদনকৃত ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বলেন, ন্যাপ ও কমিউনিষ্ট পার্টির মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যারা আদালতের রায় পেয়েছেন তারাও যদি আবেদন করেন তাও যাচাই বাছাই করা হবে। অন্যথায় তাদের ব্যাপারে আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে যাচাই-বাছাই কমিটির সকল সদস্য ঐক্যমত পোষণ করে বলেন, পটিয়ার সাংসদ আলহাজ¦ সামশুল হক চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা না হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত একজন সংসদ সদস্য। আমরা তার সাথে বৈঠক করে কথা দিয়েছি, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে কোন স্বজনপ্রীতি এবং ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করা হবে না। শুধুমাত্র প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করা হবে। যে যে দলই করুক না কেন প্রকৃত তথ্য গোপনের মাধ্যমে কাউকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদানের দায়ভার কমিটি গ্রহণ করবে না। এক্ষেত্রে কমিটি শতভাগ অনড় থাকবে। পটিয়ায় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলাকালে প্রতিটি এলাকায় প্রচার-প্রচারণা এবং মাইকিং করা হবে।

এতে প্রথম দিন ১১ ফেব্রুয়ারী আশিয়া, ১২ ফেব্রুয়ারী কুসুমপুরা-জিরি, ১৩ ফেব্রুয়ারী হাবিলাসদ্বীপ-জঙ্গলখাইন, ১৪ ফেব্রুয়ারী ধলঘাট, কেলিশহর, ছনহরা, ১৫ ফেব্রুয়ারী পৌরসভা-বড়লিয়া, কাশিয়াইশ, খরনা, ১৬ ফেব্রুয়ারী হাইদগাঁও, দক্ষিণ ভূর্ষি, কচুয়াই, ভাটিখাইন, শোভনদন্ডী, ১৮ ফেব্রুয়ারী চরলক্ষ্যা, চরপাথরঘাটা, জুলধা, শিকলবাহা, বড় উঠান, কোলাগাঁও ১৯ ফেব্রুয়ারী যারা গেজেটভুক্ত কিন্তু লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভুক্ত নন, কিংবা লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভুক্ত কিন্তু অভিযোগ আছে তাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। যা ২০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.