রাবারড্যাম ফুটো, বোরো চাষ নিয়ে শঙ্কা

0

বশির আল মামুন,চকরিয়া::চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ী রাবারড্যামের রাবার ছিদ্র হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে খুটাখালী ছড়ার পানি প্রবাহ আটকিয়ে রাখতে না পারার কারণে চলতি বোরো মওসূমে ইউনিয়নের প্রায় ৪ শ হেক্টর জমির বোরো চাষাবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ৬ মাস পূর্বে বাবার ছিড়ে গেলে ও কর্তৃপক্ষের অবহেলার ফলে বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছে চাষীরা। ভর মওসূমে এসে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার কারণে প্রায় ১১শত একর জমির বোরো ফলন নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছে। যথাসময়ে রাবারড্যামের ছিদ্র (ফুটো) হওয়া রাবার মেরামত করা না হলে রোপন করা এক তৃতীয়াংশ জমির বোরো ধান মরে বিনষ্ট হয়ে যাবে। এমনই আশংকা করছেন ছড়া খালের পানি সেচ সুবিধা নির্ভর কয়েক শতাধিক বোরো চাষী ।

 

জানা গেছে, খুটাখালী ইউনিয়নের প্রায় ৫শত হেক্টর জমিতে শুকনো মওসূমে রোরো চাষাবাদ নিশ্চিত করার জন্য ২০০৪ সালে প্রায় কোটি টাকা ব্যায় করে ইউনিয়নের ফুলছড়িতে খুটাখালী ছড়ার উপর রাবারড্যাম নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে ইউনিয়নের খাস ঘোনা, ফুলছড়ি বিল, হেতালিয়া পাহাড়, বাককুমপাড়া, দক্ষিণ বিল, কাঠালিয়া পাহাড়, চেয়ারম্যান পাড়া ও কান্তিবিলসহ একাধিক এলাকা বোরো চাষাবাদের আওতায় আসে। খুটাখালী ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি নামে একটি সমিতি প্রতি বছর বোরো মৌসুমে এসব জমিতে সেচ সুবিধা দিয়ে আসছিল। কিন্তু ৬ মাস পূর্বে রাবার ড্যামের রাবারে বেশ ক‘টি ছিদ্র (ফুটো) দেখা দিলে ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজন তাৎক্ষনিক বিষয়টি চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেন।

 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী সম্প্রতি সরজমিন পরিদর্শন করে প্রাথমিক ভাবে ফুটো বন্ধ করে দেন। ছিদ্র (ফুটো) একাধিক জায়গায় হওয়ায় মেরামতের কিছুদিনের পর আবারো ফের ছিদ্র (ফুটো) হয়ে যায়। এক পর্যায়ে ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে কয়েক দফায় ছিদ্র (ফুটো) বন্ধ করা হলেও তা দীর্ঘ সময় টিকেনি। বর্তমানে রাবারড্যামের ছিদ্র অনেক বড় আকার ধারণ করায় কিছুতেই পানি আটকানো যাচ্ছে না। সপ্তাহে ২/৩ বার রাবারড্যাম ফুলানো হলেও ছিদ্রের কারণে কিছুতেই ড্যাম ফুলিয়ে রাখা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির।

 

খুটাখালী ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সভাপতি সাবেক মেম্বার কুতুব উদ্দিন জানান, ড্যামের ছিদ্র (ফুটো) দিন দিন বড় হচ্ছে। সপ্তাহে তিনবার করে রাবার ফুলানো হলে ও ফুটো দিয়ে পানি সরে পড়ায় পানি আটকানো যাচ্ছে না। অনেকে বিকল্প পানি সেচের পরিকল্পনা নিয়েছেন।
কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মনজুর আলম ছিদ্দিকী বলেন, তিনি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.