আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: মিয়ানমারে গণহত্যার ‘জোরালো প্রমাণ’ পাওয়া গেছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিমদের গলাকেটে ও জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। বুধবার হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভিত্তিক ফোর্টিফাই রাইটস-এর এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়। খবর এএফপি’র।
প্রতিবেদনটিতে গত বছরের ৯ অক্টোবর ও ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে এবং চলতি বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারে বেসামরিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ‘ব্যাপক ও একের পর এক হামলার’ প্রমাণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
‘তারা আমাদের সবাইকে হত্যা করার চেষ্টা করে’ শীর্ষক ৩০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি রোহিঙ্গাদের ওপর নিষ্ঠুর হামলার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই হামলার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া দু’শরও বেশি রোহিঙ্গার সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা কর্মীদের সাক্ষাতকারও নেয়া হয়েছে।
কোনো কোনো বিশ্বনেতা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই দমন অভিযানকে ইতোমধ্যে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
ফোর্টিফাই রাইটস ও হলোকাস্ট মিউজিয়ামের সংগৃহীত সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা গেছে ‘মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক দুষ্কৃতকারীরা মানবতা বিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নিধনের’ মতো অপরাধ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যার জোরালো প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
গত বছরের অক্টোবর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করার পর এখন পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যের প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ রক্ষার্থে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।