নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল আহাদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা শ্রমিকদের রক্তে রঞ্জিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন শ্রমিক বান্ধব সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী প্রদান ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করেছেন। তারপরও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও অযোগ্য শ্রমিক নেতৃত্বের কারণে শ্রমিক শ্রেণি অনেক ক্ষেত্রেই ন্যায্য মজুরী ও অধিকার বঞ্চিত। ইয়াবা ব্যবসার বিস্তার সমাজকে দূষিত করছে। এই অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য ইয়াবা ব্যবসা রুই-কাতলাদের ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে হত্যা করা উচিত।
চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলী বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত পৌরকর শ্রমিক-কর্মচারীদের উপর একটি নিবর্তনমূলক স্টীম রোলার। আইন ও মন্ত্রণালয়ের দোহাই দিয়ে সিটি মেয়র শতভাগ গৃহকর বৃদ্ধি করায় তার প্রভাব পড়বে ভাড়াটে শ্রমিক-কর্মচারীদের উপর। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলনকারীদের পাশে থাকবে। আজ সকালে জাতীয় শ্রমিক লীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর শাখার এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, একশ্রেণির টাউট-বাটপার সিবিএ দখল করছে। এরা ক্ষমতাসীন দলের লেবাস পরিধান করে শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী অপকর্মে লিপ্ত। এদের অপকর্মের ফলে শ্রমিক বান্ধব সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, শ্রমিক শ্রেণির রক্তে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। এর সাথে বেঈমানী করা যাবে না। মুখ্য আলোচক একাত্তর টিভির চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান মাঈনউদ্দিন দুলাল বলেন, এদেশে পোশাক শিল্প অন্যতম প্রধান রফতানী আয়ের উৎস। অথছ এই শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে।
যুগ্ম শ্রম আদালতের কর্তাব্যক্তিরা কৌশলে পোশাক শিল্পের মালিক পক্ষের পক্ষাবলম্বন করে শ্রমিক নির্যাতনে ইন্ধন যোগাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জোরদার করতে হবে। আবুল হোসেন আবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মো: ইলিয়াছ, অরুণ কুমার দাশ, কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, গাজী জসিম উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, আবদুল মালেক, ওমর ফারুক, আনোয়ার মাঝি, আবদুল মালেক, মো: ফোরকান, মো: ফরিদ, মনজুরুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, নাইমুল করিম, আবদুল্লাহ আল মারুফ প্রমুখ।