রাউজান ওসি’র মানবিকতা
নেজাম উদ্দিন রানা, সিটি নিউজ : রাউজানে একটি বাস দূর্ঘটনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানিতে ওসি’র ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনা ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, জীবন বাজি রেখে এমন মানবিক একটি কাজ পুলিশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে।
গত ২২ জুন শ্রক্রবার বিকেল চারটার দিকে এলাকায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের রাউজান পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের ঢালারমুখ এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস (রাঙ্গামাটি-জ-০৪-০০৪২) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাঁদের গাড়ীকে (জীপ চট্টগ্রাম-৪৩০৮) ধাক্কা দিয়ে সড়কের পাশের একটি ডোবায় পড়ে গেলে সংখ্যায় প্রায় ৩৫-৪০ জন যাত্রী গাড়ীর ভেতর আটকে যায়।
খবর পেয়ে রাউজান থানা থেকে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে গাড়ীর ভেতর আটকে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধারে ডোবার পানিতে নেমে সাঁতরিয়ে বাসটির কাছে গিয়ে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালান রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেফায়েত উল্ল্যাহ।
ঘটনার সময় রাউজান থানার ওসি’কে একটি লুঙ্গি ও টি শার্ট পরিহিত অবস্থায় পানিতে একহাতে বাসের উপরিভাগের অংশ ধরে আরেকহাতে বাসের ভেতর থেকে মানুষকে টেনে বের করার দৃশ্য দেখে পুলিশের মানবিক কাজের ভূয়শী প্রশংসা করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ সময় ওসির সাথে রাউজান থানার এক কনস্টেবল নোয়াব আলীও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। পুলিশের পাশাপাশি রাউজান পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক রুকনও পানিতে নেমে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
জীবনের বাজী রেখে পানিতে নেমে বাসের ভেতর আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেফায়েত উল্ল্যাহ বলেন, পানির ভেতর প্রায় ডুবন্ত একটি বাসের ভেতর আটকে যাওয়া শিশুর কান্নার শব্দ শুণে তড়িৎগতিতে পানিতে নেমে পড়ে নিজের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে। ঐ সময় জীবন বাজি রেখে পানিতে নেমে আমরা উদ্ধার অভিযানে চেষ্টা করায় হয়ত কিছু মানুষ প্রাণে বেঁচে গেছে।
ওসি’র মানবিকতার ঘটনাটি রাউজানের সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। সেই দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৩ জন মারা যায়।