চন্দনাইশে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা শিক্ষককে ১ বছরের কারাদণ্ড
চন্দনাইশ,সিটি নিউজ : চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুরে স্কুল ছুটির পর সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক মোস্তাক আহমদ ফারুকী (৪৬) উপজেলার হাশিমপুর এম এ কে ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ধর্মীয় শিক্ষক। তিনি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মৃত আমির হামজার ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ১৮ জুলাই বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম বদরুদ্দোজার ভ্রাম্যমাণ আদালতে মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ লিখিতভাবে দায়ের করেন তার মা। অভিযোগে বলা হয় গত ১৭ জুলাই বিকাল ৪টায় স্কুল ছুটির পর তার মেয়েকে খাতা কাটার নাম করে ওই শিক্ষক স্কুলে রেখে দেন। পরে তাকে স্কুলের একটি কক্ষে ডেকে নেন। এ সময় তার শ্লীলতাহানি করতে চাইলে সে কোনোভাবে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল বিকালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু কাউসার, হাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নোমান শফির উপস্থিতিতে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ।
তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযুক্তকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে। পরে তাকে চন্দনাইশ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নোমান শফি বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিন মাস আগে যোগদান করেছি। এক মাস আগে স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে সভার মাধ্যমে রেজুলেশন করে শিক্ষকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ছুটির পর কোনো ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে রাখা যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম বদরুদ্দোজা সাংবাদিকদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই রকম আরো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
