চসিক গ্রন্থাগার বর্তমান-ভবিষ্যতকে আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে দিবেঃ ড. অনুপম

0

সিটি নিউজঃ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড.অনুপম সেন বলেছেন, চট্টগাম সিটি কর্পোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি প্রাচীনতম গ্রন্থাগার আলজেরিয়ার মতই। লাইব্রেরি জ্ঞানের আলোক বর্তিকা জ্বালায়। আমি ছাত্র অবস্থায় এই লাইব্রেরিতে এসে নিজেকে জ্ঞানের আলোয় আবিস্কৃত করি। আমাদের মা স্নেহলতা সেন বেথুন কলেজে কৃতি ছাত্রী হিসেবে মহাভারত রামায়ণসহ কিছু মহাগ্রন্থ উপহার পেয়েছিলেন। এগুলো আমার জীবনের আমার শুদ্ধ পাঠ। এই পাঠের ধারবাহিকতায় আজ নবযাত্রা শুরু হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এই গ্রন্থাগারটি বর্তমান ভবিষ্যতকে আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে দেবে।

আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্মিত ভবনের চসিক পাবলিক লাইব্রেরির শুভ উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ কাজী মোজাম্মেল হক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়য়া প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহামেদ ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন আরো বলেন, আমি এই লইব্রেরির অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে অভিভূত। চসিক প্রশাসক সুজন মানুষের কল্যাণে অনেক কাজ করেছেন দ্বিধাহীন চিত্তে। আমি নিজে তা দেখেছি। অল্প সময়ে সুজনের অনেক কাজের মধ্যে এই লাইব্রেরিটার উদ্বোধন অন্যতম একটি কাজ। এই লাইব্রেরিতে আছে বিচিত্র বইয়ের সমাহার।

লাইব্রেরী উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন ও প্রশাসক খোরেশদ আলাম সুজন লাইব্রেরী ঘুরে সংগ্রহে থাকা বই-পুস্তকগুলো দেখেন
লাইব্রেরী উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন ও প্রশাসক খোরেশদ আলাম সুজন লাইব্রেরী ঘুরে সংগ্রহে থাকা বই-পুস্তকগুলো দেখেন

ড. সেন নগরীর বাসিন্দাদের পরামর্শ দেন তাদের সন্তানদের বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করতে। এই লাইব্রেরিতে আন্তর্জাতিক সাহিত্যের অমূল্য সংগ্রহ আছে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রবাসী, পূরবী, সওগাত, মোহম্মদী, শনিবারের চিঠিসহ অনেক প্রকাশনা ও গেজেট পেটেন্ট এই লাইব্রেরিতে সংগৃহীত আছে। আমার প্রত্যাশা এই লাইব্রেরি চট্টগ্রাম ও দেশজুড়ে জ্ঞানের অলো ছড়াবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আজ আমার জীবনের আনন্দের দিন। কারণ নগরীর জ্ঞানপিপাসু মানুষের জন্য লইব্রেরিটি উদ্বোধন করতে পারলাম। ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতীকে মেধাশূণ্য করতে চেয়েছিলো। আজ আমরা এই দিবসে জ্ঞানের দুয়ার খুলে দিলাম। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ তাঁর কন্যার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর আলাদা বৈশিষ্ঠ্য আছে। এই শহরকে নতুন প্রাণ নতুন অঙ্গিকে সাজাতে চেয়েছিলেন সাবেক মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীর একদিন আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পাবলিক লাইব্র্রেরির এই উদ্বোধন মহিউদ্দীন চৌধুরীর অত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও উপহার।

পরে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন ও প্রশাসক খোরেশদ আলাম সুজন লাইব্রেরী ঘুরে সংগ্রহে থাকা বই-পুস্তকগুলো দেখেন।

এ বিভাগের আরও খবর
আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.