দুই মন্ত্রীর বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধ মামলা পরিচালনা ব্যাহত হবে

ঢাকা : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতা মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায় নিয়ে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধ মামলা পরিচালনা ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।

তিনি বলেছেন, ‘দুই মন্ত্রী প্রধান বিচারপতি ও বিচার বিভাগ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তাতে যুদ্ধাপরাধ মামলা পরিচালনা ব্যাহত হবে।’ বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয় বলেও মনে করেন তিনি।

রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন।

এর আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মীর কাসেমের মামলার বিচারকাজে তদন্ত সংস্থার ‘গাফিলতি’র কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং তদন্ত সংস্থা যে গাফিলতি করেছে এজন্য তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।’

প্রধান বিচারপতির এ বক্তব্যের পর আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের গাফিলতি থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।’

এর প্রেক্ষিতে শনিবার (৫ মার্চ) প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের আপিলের পুনঃশুনানি দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই মামলার রায় কী হবে তা প্রধান বিচারপতির প্রকাশ্যে আদালতে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা  অনুধাবন করতে পেরেছি। তার বক্তব্যের মধ্যে এটা অনুধাবন করেছি, এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। জামায়াত-শিবিরের আন্তর্জাতিক লবিস্টরা যে সুরে কথা বলছে একই সুরে কথা বলছেন প্রধান বিচারপতি। তাদের অভিযোগগুলোর সত্যতা দিয়েছেন তিনি।

‘শুধু তা-ই নয় এই বক্তব্যের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের গত ৫ বছরের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ ও হত্যা করা হয়েছে। আমি মনে করি প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নতুন করে শুনানি হওয়া উচিত। উনাকে (এসকে সিনহা) বাদ দিয়ে মীর কাসেমের শুনানি পুনরায় শুরু করুন।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ওই সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার ও বিচার পরবর্তী তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের জন্য আইনের সংশোধন করতে হবে।’

সরকারের দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের একদিন পর অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম এতে যুদ্ধাপরাধ মামলা পরিচালনা ব্যাহত হওয়ার কথা জানালেন।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.