কাট্টলীতে মধ্যরাতে আগুন ১ জনের মৃত্যু-আশংকাজনক ৬ জনকে ঢাকায় প্রেরণ
সিটি নিউজঃ নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকায় মধ্যরাতে আগুন লেগে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় ৬ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড নিয়ে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
সোমবার (৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহর উত্তর কাট্টলীর মুরাদ চৌধুরী বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে একই পরিবারের সাতজনসহ অগিদগ্ধ হয়েছেন নয়জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) আজ সোমবার সকালে পেয়ারী বেগম মারা যান একজন। বাকি আটজনের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের বেশিরভাগেই পুড়ে গেছে শ্বাসনালী। তাদের ৬ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ৬০ বছরের পেয়ারী বেগম নোয়াখালী থেকে ছেলের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডা. রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও আমরা তাকে এখনো ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বাকি আটজনের মধ্য একজন বাদে সাতজনের অবস্থা গুরুতর। এই সাতজনের সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। দুইজনকে ইমিডিয়েট আইসিইউ সাপোর্ট দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালে আইসিইউ খালি না থাকায় তাদের বিষয়ে বিকল্প চিন্তা করা হচ্ছে।’
অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারা হলেন-মিজানুর রহমান (৪২), সাইফুল ইসলাম (২৫), বিবি সুলতানা (৩৬), মানহা (০২), মাহের (৮), পিয়ারী বেগম (৬৫), রিয়াজ (২২), জাহান(২১), সুমাইয়া (১৮)। এদের মধ্যে পিয়ারী বেগম মারা গেছেন।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক বলেন, মধরাতে আকবরশাহ থানাধীবন উত্তর কাট্টলীতে মুরাদ চৌধুরীর বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট আগুনের সূত্রপাত হয়। আমরা খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে যেতে বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় মোট নয় জন দগ্ধ হয়েছেন। সবাই চমেক হাসপাতালে ভর্তি আছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে চমেক ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে।