চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এসএন করপোরেশন নামে একটি শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ খায়রুল ইসলাম (২১) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খায়রুল ইসলামের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এর আগে, গতকাল (রোববার) ভোরে আহমেদ উল্লাহ (৩৮) নামে একজন মারা যান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হলো।
এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হয়ে বর্তমানে আরও ছয়জন চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা হলেন- বরকত উল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৫০), আল আমিন (৩৬), জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), হাবিব (৩৬) ও আবুল কাসেম (৩৯)।
এদের মধ্যে বরকত উল্লাহ ৬০ শতাংশ দগ্ধ, আনোয়ার হোসেন ২৫ শতাংশ, আল আমিন ৮০ শতাংশ, জাহাঙ্গীর আলম ৭০ শতাংশ, হাবিব ৪৫ শতাংশ এবং আবুল কাসেম ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সাত সেপ্টেম্বর দুপুরে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর তেঁতুলতলা এলাকার সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন এসএন করপোরেশন নামের জাহাজ ভাঙা কারখানায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এতে অগ্নিদগ্ধ হন ১২ শ্রমিক। তাদের মধ্যে সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকা আট শ্রমিককে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
