বিশেষ প্রতিনিধি : জশনে জুলুস ১২ই রবিউল আউয়াল সবচেয়ে বড় উৎসব মুমিনদের জন্য, কারণ এদিনে পৃথিবীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
জামেয়া আহাম্মদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার মুফতি আল্লামা ওবায়দুল হক নইমি বলেন, আল্লাহ্ বলেছেন, মহানবীকে মানবজাতির জন্য সৃষ্টির রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি। তাই আল্লাহ্ যে মহামানবকে আমাদের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন, সেজন্য শুকরিয়া আদায় করা আমাদের কর্তৃব্য। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে পাঠিয়ে আল্লাহ্ মুমিনদের উপকার করেছেন। তাই তাঁর আগমনী দিন উৎসব হিসেবে পালন করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর ষোলশহরের আলমগীর খানকাহ্-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া জামেয়ার ময়দানে জুলুস শুরু হয়।
চট্টগ্রাম থেকে যে জশনে জুলুস পালন করা হয় এটি কোন সাধারণ মিছিল নয় উল্লেখ করে আল্লামা ওবায়দুল হক নইমি বলেন, মুমিনদের ঐক্যবদ্ধ করার বড় সুযোগ এটি। জুলুসের মাধ্যমে মুমিনরা একাত্মতা প্রকাশ করার সুযোগ পায়। মহানবীর জন্মদিনটি পালন ফেরেশতাদের ওপরও সুন্নাত। প্রিয় নবীকে যদি আল্লাহ্ তায়ালা পৃথিবীতে না পাঠাতেন তাহলে আমরা বান্দারা কিছুই পেতাম না। তাঁর বদৌলতে যে রহমত যে নেয়ামত পেয়েছি, তার শুকরিয়া আদায় করা ওয়াজিব।
ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মে কোন জঙ্গি তৎপরতার স্থান নেই। বর্তমানে ইসলামের নামে পথভ্রষ্ট কিছু মানুষ জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা মুসলমানদের জন্য বড় সমস্যা। যারা কোরআন অনুসরণ করে, প্রিয় নবীর সুন্নাত পালন করেন, জীবনাদর্শ অনুসরণ করেন, তারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারেন না। ইসলাম মানুষ হত্যা কখনোই সমর্থন করে না।
প্রতিবারের মতো এবারের জুলুসও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে নগরীর ষোলশহরের আলমগীর খানকাহ্-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জুলুস শুরু হয়। জুলুসে আল্লামা তাহের শাহ’র সঙ্গে গাড়িতে তার দুই ছেলে সৈয়দ মো. কাশেম শাহ ও সৈয়দ মো. হামিদ শাহও ছিলেন। এছাড়াও আল্লামা তাহের শাহ’র সঙ্গে ছিলেন পিএইচপি পরিবারের চেয়ারম্যান সুফি মো. মিজানুর রহমান, আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মো. আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মো. শামসুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মো, সিরাজুল হক, অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল সেক্রেটারি এস এম গিয়াস উদ্দিন শাকের, প্রেস এন্ড পাবলিকেশান সেক্রেটারি কাজী শামসুর রহমান, গাউসিয়া কমিটির বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়া আহাম্মদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. দিদারুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার হাজার হাজার মানুষ বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে জুলুসে যোগ দেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত আসা লাখ লাখ সুন্নি জনতাও জুলুসে অংশ নিয়েছেন।
