টানা ১৫ দিন পানি ছেড়ে দেওয়ার পর বন্ধ করা হয়েছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি গেট।
আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে গেটগুলো বন্ধ করা হয়।
এর আগে ২৪ আগস্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পানি বিপদসীমার উপরে অতিক্রম করে। পরের দিন ২৫ আগস্ট সকাল আটটায় ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি করে একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই দিন কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি আছড়ে পড়েছিল।
কর্ণফুলী পানি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, পানি বিপদসীমার নিচে চলে আসায় স্পিলওয়ের ১৬টি গেট বন্ধ করে দিয়েছি।
পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, এই বছর কাপ্তাই হ্রদের পানি বেশি বেড়ে গিয়েছিল। গত তিন সেপ্টেম্বর স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট দিয়ে সর্বোচ্চ ছয় ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হয়েছিল।
সেদিন কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ১০৮.৬৫ ফুট মিন সি লেভেল। হ্রদে সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মিন সি লেভেল।
এদিকে পিডিবি জানিয়েছে, কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় বর্তমানে কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দৈনিক পাঁচটি ইউনিটে সর্বোচ্চ গড়ে ২১০ হতে ২২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে দৈনিক সর্বমোট ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হয়।