জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রূপা হককে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নিশ্চিত করেছেন যে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তখন ভুয়া সংসদ ছিল, যেখানে ভুয়া স্পিকার ও ভুয়া সংসদ সদস্যরা ছিলেন।’
‘পুরো দেশ এখন তাদের বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে; তাদের কথা বলার স্বাধীনতা জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল,’ বলেন তিনি।
আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্রিটিশ এমপি রূপা হক।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গৃহীত সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজখবর নেন রূপা হক।
ব্রিটিশ এমপি বলেন, ‘জুলাই পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ দেখে আমি সত্যিই উৎসাহিত হয়েছি।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশে আসার বিষয়ে তাঁর আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা রয়েছে: ডিসেম্বর ২০২৫ বা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। নির্বাচনের সময়সূচি নির্ভর করছে জনগণ কতটুকু সংস্কার চায় তার ওপর।
আলচোনায় জুলাই অভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল সেসব বর্ণনা তুলে ধরেন প্রফেসর ইউনূস।
সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।
এর আগে রূপা হক যুক্তরাজ্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
ইউকেবিসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে রয়েছে।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউকেবিসিসিআই চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিই এবং ইউকেবিসিসিআই সভাপতি এম জি মওলা মিয়া।